আয়ারল্যান্ড বলেই ভয়টা ছিল। তার ওপর ২৮ রানে ৩ উইকেট নেই। ততক্ষণে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন তামিম, ইমরুল ও জহুরুল। আয়ারল্যান্ড যেন মনে করিয়ে দিল ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের কথা। যে বিশ্বকাপে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারতে হয়েছিল অখ্যাত আয়ারল্যান্ডের কাছে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে এ আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেই শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের টি২০ বিশ্বকাপ। অবশ্য জুনায়েদ সিদ্দিকীর ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির ওপর ভর দিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই পেয়েছে মাশরাফির দল। তার সেঞ্চুরির দিনে গত কয়েকটি সিরিজে রানখরায় ভুগতে থাকা সাকিব আল পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড ২৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৬০ রান।
কাল বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। তার এ সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করে র্যাঙ্কিন ও জনস্টন মাত্র ২৮ রানে বাংলাদেশের ৩ উইকেট ফেলে দেন। ১১ রানে ইমরুলকে (৫) কট অ্যান্ড বোল্ড করে শুরুটা করেন জনস্টন। ব্যাট হাতে ইংল্যান্ড সিরিজে খুব একটা সুবিধা করতে না পারা তামিম (৫) তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৫ রানে র্যাঙ্কিনের বলে দ্বিতীয় স্লিপে স্টিরলিংয়ের হাতে ক্যাচ দেন। ২৮ রানে জহুরুলকে ফিরিয়ে দিয়ে আবার আঘাত হানেন জনস্টন। এখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ১০৭ রান। দলীয় ১৩৫ রানে এ জুটি ভাঙেন স্টিরলিং। তার আগে ব্যাট হাতে রানখরায় ভুগতে থাকা সাকিব (৫০) তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারে ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি। ৭৮ বলে খেলা তার ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারি। এরপর মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৩২ এবং মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে জুনায়েদ যোগ করেন ৩০ রান। ইংল্যান্ড সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে বাম চোখে চোট পাওয়ার পর বাকি দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি মুশফিক। এদিন ১৮
বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ভালো শুরু করেও মাহমুদুল্লাহকে থামতে
হয়েছে ১৪ রানে।
তবে এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৭ রান করে মাঠ ছাড়া জুনায়েদ সেঞ্চুরি করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন। ৪৬তম ওভারে দলের ২০৫ রানে ও’ব্রায়েনের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডকরেলকে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ঠিক ১০০। ১২৩ বলে তার ধৈর্যশীল ইনিংসে ছিল ৯টি চারের মার। ওয়ানাডেতে নবম বাংলাদেশি হিসেবে জুনায়েদ ১৯তম সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখালেন। এরপর মাশরাফির ১৩ বলে ১৫ এবং রাজ্জাক ১১ রান করলে বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে ওঠে ২৩৪ রান। ইনিংসে একমাত্র ছক্কাটি এসেছে ৪৭তম ওভারে কুস্যাকের বলে।
You must log in to post a comment.