একটা সময় তুলসী পাতা ঠান্ডা, সর্দি, কাশির মতো অসুখের পথ্য হিসেবে ব্যবহূত হতো। এবার এই তুলসী পাতায় বড় ধরনের গুণাগুণের খোঁজ পেয়েছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দাবি করছেন, তুলসীপাতা ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা নিরাময়ের ওষুধ হিসেবে কাজ করবে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ভারতের বিজ্ঞানীরা তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে এর কিছু কার্যকারিতা খুঁজে পেয়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (ডিআরডিও) গবেষকেরা তুলসীপাতা থেকে একটি আয়ুর্বেদিক (হারবাল) ওষুধ তৈরি করেছেন। ওষুধটি তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত রোগীদের নিরাময়ে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ওই ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই করতে দ্বিতীয়বারের মতো গবেষণা করা হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, তুলসীপাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নামের একটি উপাদান আছে। এর মাধ্যমে তেজস্ক্রিয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সারিয়ে তোলা সম্ভব। তুলসী থেকে উত্পন্ন ওষুধটির এখন দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদনের আগে ওষুধটির আরও বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হবে। ডিআরডিওর প্রধান নিয়ন্ত্রক ডব্লিউ সেলভামুর্তি জানান, প্রাণীদের ওপর ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে যে ফলাফল পাওয়া গেছে, তা খুবই আশাব্যঞ্জক। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্তদের চিকিত্সায় ব্যবহূত হবে তুলসী। ওই ওষুধটি মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীর চিকিত্সায় ব্যবহার করা যাবে। তুলসী থেকে তেজস্ক্রিয়তা নিরাময়ের এই ওষুধ তৈরিতে সাত কোটি রুপির প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারতের সরকার।
সুত্রঃ প্রথম আলো