এলোমেলো
ইচ্ছে করে বানাই তরে নিজের মত করে
সাধ হারাবে, সঙ্গ হবে,স্বপ্ন ফেরি করে।
ভেজা ঠোঁটের রাঙ্গা হাসি, জল ছড়িয়ে কষ্টে ভাসি
তীব্র রাগে কাছে আসি, আমি যে সেই নবীন চাষী।
একি খেলা স্বপ্ন নিয়ে, হৃদয় খুঁড়িস দুঃখ দিয়ে
কৃষ্ণ কেশে মেঘ লুকিয়ে, কষ্ট পাবি পথ হারিয়ে।
বিষের ব্যাথা, ক্লান্ত কথা, সেতো আমার অপারগতা
মৌ ছড়িয়ে স্বপ্ন জুড়ে, বেশতো আছিস অগোচরে।
যুদ্ধ করে আদিম ক্ষোভে, ভিজবো তবে ক্ষীন লোভে,
উষ্ণতাপের নিঃশ্বাসে, ঘাটতি কেবল বিশ্বাসে।
ফন্দি ফিকির মন্ত্রনা, সবই কেবল আজ যন্ত্রনা
এইতো আছি বেজায় ভালো, আগের মতই এলোমেলো।

কৃষ্ণগহবর

অযাচিত শব্দে কম্পিত জানালার কাঁচগুলোর মত
মাঝরাতে কবিতা এসে হঠাৎ হানাদেয় মনের গহীনে,
শতাব্দীর শেষ বাক্য গুলো নিয়ে সে কি প্রচেষ্ঠা আমার-
দুরন্ত ছুটে চলা এক ফেরারী নারীর অবাক চাহনীও আজকাল
আমার পদ্যের কয়েকটি চয়নে স্থান করে নেয়
অতঃপর,আপ্রাণ চেষ্টা আমার একটি কবিতার জন্য ।

আমার এলোমেলো দিনলিপি আর কবিতার খাতা
বিলীন হয়েছে কবে, ঢের মনে আছে –
শুধু ভূলে গেছি আমি আমাকে, কারো পাশে।
চন্দ্রীমা, রবীন্দ্র সরোবর কিংবা নাটক পাড়া
আপছা আপছা মনে পড়ে আমার
বিদির্ণ পথ, রিক্সার টুংটাং, আচমকা ফেরীওয়ালা।

তরুনের ঝোপঝাপ, গিটারের চিৎকার, এলোমেলো গান।
অফিসের লবিতে, ফুটপাতের ছাপড়া দোকান,
নাইট গার্ডের হুইসেল-
ফেলে আসা কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-
অতিক্রান্ত করেছে আমাকে সেই কবেই-
শতাব্দীর অন্তরালে।

যান্ত্রিক অত্যাচারে, স্বপ্ন আকঁড়ে ধরে, তীব্র প্রলয়ের ভয়ে।
নামহীন মানুষ খুঁজে পাই আমি আমার ক্যানভাসে ,
আমার পরিধী গুনে গুনে অবশেষে –
স্বপ্নের জালে নিজেকেই খুঁজে পাই চতুরতায়-সুকৌশলে
কবিতার লোভে, ঘুমহীন মাঝরাত, ঘড়ির টিকটিক শব্দে
কে যেন আমাকে, হেসে ফেলে দিতে যায় –
কৃষ্ণগহবরে।

জি,এম ফ্রেজার / ১৮ ই জানুয়ারী,  ভোর ৩ টা ২৩, রামপুরা