“আমরার আবু কান্দেরে ,ধনু গাঙ্গের পারে 
       আবু কইয়া ডাক দিলে, উইড়া আইয়া পড়ে”

ধনু পারের কোন মা, তার শিশু সন্তানের মন ভুলানোর জন্য আদিকালে সুললিত সুরে এ কথাগুলো প্রথম উচ্চারণ করেছিল তা’ জানা সম্ভব নয়; হবে লোকায়ত এই পংথি দু’টোর মাধ্যমে ভাটি অঞ্চলের জনমনে এই নদীর প্রভাব সহজেই অনুধাবন করা যায়। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে বিস্তৃত এই নদীর উপত্যকা, এবং এই ধনু নদীর উপত্যকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু সম্বৃদ্ধ জনপদ। এই অঞ্চলটি বাংলার প্লাবণ সমভূমির অন্তর্গত একটি বিশেষ অঞ্চল এবং শস্য ও মৎস্য সম্পদের বিশাল ভান্ডার হিসাবে পরিচিত।

ভারতের মেঘালয় প্রদেশ থেকে উৎপন্ন যাদুকাটা ও ধোমালিয়া নদী সমতল ভূমিতে নেমে এসে সুরমা নদীর একতি পশ্চিম মুখী শাখার সাথে মিলিত হয়ে ধনু নাম ধারণ করে এঁকে-বেঁকে প্রবাহিত হচ্ছে দক্ষিন দিকে। পূর্ব পশ্চিম থেকে আরও অসংখ্য উপনদী আত্মবিসর্জন বিয়েছে ধনু নদীতে এবং এই নদীর জন্ম দিয়েছে অসংখ্য শাখানদী, যে গুলো সাতনরী হারা হয়ে ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তৃত হাওড়ের বুকে। ৩০০ কিলোমিটার পথ পারি ভৈরব বাজারে এসে এই নদী, বিশালাকার ধারণ করেছে যাকে বিশ্বখ্যাত ভূগোলবিদ টলেমী-‘মেগারিভার’ নামে অভিহিত করেছেন। বর্তমান বাংলাদেশে এটিই একমাত্র নদী, যেটি উৎসস্থল পর্যন্ত সারা বৎসর নাব্য।

পৌরানিক কাহিনী, কিবংদন্তী এবং নামকরণঃ-

ত্রেতাযুগে শ্রীরাম চন্দ্র লঙ্কাজয়ের মাধ্যমে সীতা উদ্ধারের পর যুদ্ধ বিগ্রহের অবসান হলে হরধনু ত্যাগ করে লাঙ্গল ধারন করেছিলেন। মানুষ তখন শিকারী জীবন ত্যাগ করে কৃষিজীবী জীবন বেছে নেয়। রামের পরিত্যাক্ত হর ধনু কোথায় পরেছিল তা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। একদিন বৃষ্টির পর র্পূব আকাশে ধনুকাকৃতির এক বর্ণাঢ্য সুর্বণরেখা দেখতে পেয়ে রামের ভক্তগণ একেই সে ধনু মনে করে নাম দিল “রামধনু”। পূর্ব দিকে ছিল শুধু জল আর জল। পুরানে এই জলভাগকে বলা হয়েছে লৌহিত্যসাগর। এই সাগর ছিল দুরতিগম্য। মহাভারতের পঞ্চপান্ডব সমগ্র ভারত ভ্রমণ শেষে এই সাগরের কুলে আটকা পড়েছিল। এরপর এখানেই গান্ডীব নিক্ষেপকরে হস্থীনাপুর ফিরে যায়। পান্ডবরা এই জল ভাগ অতিক্রম করতে পারেনি বলে শাস্ত্রকারগন বিধান দিয়েছিল, “লৌহিত্য পশ্চিমভাগ সদা বহতি জাহূবী”- অর্থাৎ লৌহিত্যের পশ্চিম ভাগ পূণ্যভূমি পূর্ব ভাগ নিষিদ্ধ। এদিকে গঙ্গার গর্ভে জন্ম নেয় ব্রহ্মার এক জারজপুত্র। হিমালয়ের এক গোপন কুন্ডে সে অবস্থান করতে থাকে। পরশুরাম কুঠারের আঘাতে তার অসৎ মাতাকে হত্যা করলে মাতৃহত্যাজনিত পাপে তার হাতে কুঠার আটকে যায়। দৈব আদেশে সে হিমালয়ের ঐ কুন্ডে স্নান করলে তার পাপ মোচন হয়। অতপর ব্রহ্মার অবমুক্ত হয়ে, সেই পাপের জলধারাদিয়ে জগতের সকল পাপ বহন করে সাগরের পানে ধাবিত হয়। ভরাট হয়ে যাওয়া লৌহিত্যের পূর্ব অংশে জেগে থাকে ধনুকের মত বাঁকা এক নদী। রামের হাতের হরধনুর সাথে এক আশ্চর্য রকম সাদৃশ্য দেখে পন্ডিতদের মনে ধারণা হয়, এই বুঝি রামের ধনু যা এতকাল লৌহিত্য সাগরে নিমজ্জিত থাকার পর নদীরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।

প্রাচীন কাব্য কাহিনীতে ধনু নদীঃ-

বাংলার প্রাচীন কাহিনী কাব্য ময়মনসিংহ গীতিকার অধিকাংশ পালা গানে এই নদীর উল্লেখ রয়েছে। চন্দ্রকুমার তে সংগৃহীত এবং ডঃ দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত ময়মনসিংহ গীতকা, যাহা পাশ্চাত্যে, “দি বেঙ্গল বেলাডস” নামে পরিচিত, এতে উল্লেখিত মহুয়া, মলুয়া এবং দেওয়ান মদীনার লীলাভূমি এই ধনু নদীর কাব্যের আড়ালিয়ে, বাকশাই, তল্লার হাওর মহুয়া কাব্যের কাঞ্চনপুর, বামনকান্দা, বৈরাগীর ভিটা এবং দেওয়ান মদীনার কাজল কান্দা গ্রামে এই নদীর তীরে অবস্থিত। এসব কাহানীর পরিচয়হীন রচয়িতাগন – শ্রীনাথ বাইন্যা, রঘুসুত পাটনী, দামোদর শীল, মনসুর বয়াতী এরাও এখানকার অধিবাসী ছিলেন। ইটপাথরের নির্মিত প্রাচীন কোন সভ্যতার নির্দেশন না থাকলেও এই নদীর কুলে এক সময় লোকসাহিত্যের যে সম্বৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে উঠেছিল তা বিশ্বসাহিত্যের এক অমুল্য সম্পদ হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। নদী তীরের কাশবন, নল-খাগড়া, হোগলা ইকরের বনে কোড়ার ডাক আর কদাচিত বাদিয়ার বহর, মহুয়া মালুয়ার প্রণয়োপখ্যানের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়।

ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ-

১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ সার্ভেয়ার জেমস রেনেলের মানচিত্রে সর্বপ্রথম এই নদীর দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়েছে। তবে জেমস রেনেলের মানচিত্রে নদীটির যে ভাবে অঙ্কিত রয়েছে বর্তমানের সঙ্গে তার বেশ গড়মিল রয়েছে। ফলে কিছু কিছু বাঁক পলি ভরাট হয়ে সমতলে সাথে মিশে গিয়েছে। ১৯১৭ সনে জন মেকলি সম্পাদিত মোমেনশাহী গেজেটের বিবরন অনুযায়ী জানা যায় এই নদী গভীর খাত বিশিষ্ট একটি প্রশস্ত নদী ছিল। এর গড় গভীরতা ছিল ১০০ ফুট। মোঘল সৈন্যদের নৌবহর এই নদী পথেই আফগান বীর খাজা উসমান খান লোহনীর পশ্চাদবন করেছিল এবং ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত নাসিরুজ্জিয়লের যুদ্ধে তাঁকে পরাজিত করেছিল। পূর্বকালে রামপুরুষগণ নৌ-বিহার এবং পাখি শিকারের জন্য বজরা ও পানশী সহযোগে হাওড় এলাকার প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যে আসতেন। বলা-বাহুল্য ধনু নদী এবং এর দু’কুলের বিলঝিল ছিল পাখ পাখালির নির্ভয় বিচরণস্থল। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ গর্ভনর লর্ড কারমাইকেল এই নদী পথেই খালিয়াজুড়ি হাওড়ে পাখি শিকার করতে এসেছিলেন।

গারো পাহাড়ের কঠিন পাথর ধোয়া কালো জলের এই শান্ত নদীটির ভাঙ্গাঁগড়ার কোন ইতিহাস না থাকলেও মানব সমাজের বিবর্তন ও উত্থান-পতনের অনেক কাহিনী বুকে ধারণ করে রেখেছে। সাগরের প্রজারূপে কত জল, কর হিসাবে বয়ে নিয়েছে সে হিসাব নিজেই জানে। তবে বয়সের ভারে শীর্ণকায়া হয়েও ধনুনদী অদ্যাবধি নিজ উপত্যকাকে তার প্রবাহ দিয়ে সজীব করে রেখেছে।

এক সময় এই নদীর বাঁকে বাঁকে বাস করতো অজস্র কুমির। কুমির নিয়ে জনজীবনে বহু গাল-গল্প প্রচলিত আছে। সাহসী লোকেরা নদীর চরে বিশ্রামরত কুমিরকে খোঁচা দিয়ে উত্তেজিত করে তুলতো। কুমির তাকে ধরার জন্য তাড়া করলে সে সদ্যকাতা পাটক্ষেতে ঢুকে পরতো। সুচালোহয়ে থাকা পাটক্ষেতে কুমির ঢুকতে পারতোনা। কুমিরের বিভিন্ন প্রজাতিকে লোকজন বিভিন্ন নামে অভিহিত করতো যেমনঃ-কাঁইক্যা কুমির, ঘইট্যা কুমির ইত্যাদি। আঞ্চলিক ভাষায় কুমিরকে বলে কুম্বির।

বোঁচা কুমিরগুলো মানুষের প্রতি অধিক শত্রুভাবাপন্ন ছিল। কুমিরের বংশ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বহু পূর্বেই। এখন নদীর বাঁকগুলোতে শুশুক জাতীয় কিছু মৎস্যভূক প্রাণীকে দিগবাজী খেতে দেখা যায়। আঞ্চলিক ভাষায় এগুলিকে বলে ‘শিশু মাছ’।

অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ-

এক সময় এই নদীপথে চলাচল করতো কয়লায় চালিত বড় বড় জাহাজ। এই সব জাহাজের বিরাট চোঙ্গা দিয়ে অগ্নীগিরির মত যে কালো ধুয়া উৎগীড়ন হতো তা বহুদূর থেকে দৃশ্যমান হতো। এরপর চালিত হয় জেমস ওয়াটের বাষ্পচালিত জাহাজ। কলিকাতা থেকে এসব জাহাজ আসামের শিলচর পর্যন্ত যাতায়াত করতো। কালের বিবর্তনে এখন জাহাজের পরিবর্তে চলাচল করছে শত শত কারগো, লঞ্চ এবং দেশী ইঞ্চিন চালিত নৌকা। ভৈরব বাজার হতে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত সারাবছর নিয়মিতভাবে চলে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী নৌযান। ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য কারগোবোট এই নদীপথ দিয়েই মেঘালয় সীমান্ত থেকে কঠিন পাথর, নূড়িপাথর এবং বালু সংগ্রহ করে থাকে যা দেশের নির্মান শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। ধনু নদীর উপত্যকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম শস্যভান্ডার হিসাবে পরিচিত। পুর্বে উল্লেখিত তিনটি জেলার উর্বর ফসলী জমির হাওড় গুলোর এই নদীর দুই পাশে বিস্তৃত। প্রতি বছর এখান থেকে কয়েক লক্ষটন উদ্ধৃত্ব বোর ধান দেশের বিভিন্ন আড়তে সরবরাহ করা হয়। মৎস্য সম্পদেও এই উপত্যকা অত্যন্ত সম্বৃদ্ধ। একসময় এখানকার “বুইড়া বোয়াল, কুইরা রুই, মুইরা কাতলা, ফাইরা চিতল, কাইল্যা বাওস এবং ভুইত্যা গজারের খুব খ্যাতি ছিল। এই এলাকার মাছের উপর নির্ভর করে আজমিরিগঞ্জ এবং কুলিয়ারচরে ফিসারী ব্যবসা গড়ে উঠে। আজমিরিগঞ্জ ফিসারীর মাছ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা কর্তৃক লাগাতার তিনবার শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারী কলেজ প্রতিষ্ঠায় সিংহভাগ অনুদানের অর্থ এসেছে মাছের মহলদারদের কাছে থেকেই। গুরুদয়াল কৈর্বত দাসের জন্মভিটা ইটনা উপজেলার কাঠৈর নামক গ্রামে।

উল্লেখযোগ্য জনপদ এবং গতিপথঃ-
বাংলাদেশেরে উত্তর পুর্বাঞ্চলের জেলা শহর সুনামগঞ্জ এই নদীর উজানের উল্লেখযোগ্য শহর। ধনু নদী তার জলতরঙ্গে মরমীকবি হাছন রাজার একতারার সুরের মুর্ছনা নিয়ে আঁকা বাঁকা পথ ধরে বয়ে চলছে দক্ষিন দিকে। জীববৈচিত্রে পরিপূর্ণ ওয়ার্লড হেরিটেজের অন্তর্ভূক্ত টাঙ্গুয়ার হাওড়ের পশ্চিমপ্রান্ত এবং বিখ্যাত শনির হাওড়ের পশ্চিম প্রান্ত এবং বিখ্যাত শনির হাওড়ের পূর্বপ্রান্ত ছুঁইয়ে এই নদী জামালগঞ্জ উপজেলা প্রবেশ করেছে। এর বাম তীরে জামালগঞ্জ উপজেলা সদর এবং ডান তীরে সাচনা নৌবন্দর। অতঃপর গোলকপুর বাজার, গাগলাজোড়, জগন্নাথপুর এবং কাষ্ঠশিল্পের জন্য বিখ্যাত লিপসিয়া বাজার হয়ে নেত্রোকোণা জেলার খালিয়াজুরি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ময়মনসিংহ গীতিকার মলুয়ার পালায় বর্ণিত তল্লার হাওড়ের পূর্বপ্রান্ত দিয়ে এবং বিখ্যাত জলমহল “দৈলং চাইন্দাবিল বামপাশে রেখে, পাঁচহাট, ধনপুর সহিলা হয়ে ইটনা উপজেলা সদরে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীযুক্ত গুরুদয়াল সরকার এবং বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ডঃ নীহাররঞ্জন রায়ের বসতভিটা যথাক্রমে ধনপুরের কাটৈর ও সহিলা গ্রামে অবস্থিত। বাংলার প্রথম র‌্যাংলার আনন্দমোহন বসুর স্মৃতিবিজড়িত ইটনা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধনু নদী এলংজুড়ি নামক স্থানে এসে স্থানীয়ভাবে বৌলাই বা বাওলাই নাম ধারণ করে মিটামইন উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে নিকলী উপজেলায় পৌঁছালে সিংপুরের কাছে মগড়া নদী এই নদীতে মিলিত হয়। নিকলী উপজেলার ঘোড়াদিঘা নামক স্থানে এসে আবারও নাম পরিবর্তন করে ঘোড়াউত্রা নামে প্রবাহিত হয়ে বাজিতপুরের শেষ সীমায় গিয়ে আবার অষ্টগ্রাম অপজেলার চাতলপাড়ার কাছে সুরমা নদীর মূলধারায় মিলিত হয়। অতঃপর কুলিয়ারচর হয়ে ভৈরব বাজার এসে রেল ও সড়ক সেতুর দুটো রাজকীয় মালা ধারন করে গরবিনী মেঘনা তথা মেগারিভার পরিণত হয়ে সাগর পানে বয়ে যায়।

শেষ কথাঃ “ একুল ভেঙ্গে ওকুল গড়া” নদীর স্বভাবজাত ধর্ম হলেও সুনীল জলের শান্ত নদী ধনু।কীর্তিনাশা পদ্মা অথবা কুলবিনাশী যমুনার মত এর কোন অপবাদ নেই।নদী অসস্তির সৃষ্টি করেনি কোন কালে। বর্ষাকালে নদী ও হাওর একাত্মা হয়ে সাগরের রুপ নেয়,আর গ্রাম গুলো ভাসমান দ্বীপ হয়ে নয়নাভিরাম রুপ বৈচিত্রের সৃষ্টি করে। বর্ষা শেষে নরম পলিমাটির সবুজ আস্তরনে উর্বর করে তোলে উপত্যকা,আর মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে আগামী দিনের সোনালী সম্ভাবনা।এভাবেই পরম মমতায় ধনুনদী তার দু-কুলের মানুষদের লালন করে আসছে।তবে যায় দিন ভাল। অনাগত দিন গুলো কেমন যাবে তা ভবিষ্যতই জানে। বহু পথ পরিক্রমার পর নদী এখন বার্ধক্যে পরিনত হয়েছে।বুকের মধ্যে জমে উঠছে বালির চরা। তাছাড়া আসামের বরাক উপত্যকার টিপাই মুখে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। এ বাঁধ হবে ধনু নদীর মরণ ফাঁদ। ধারাজালে বঞ্চিত হয়ে ধনু নদী কি শেষ পর্যন্ত তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে? নাকি লোকায়িত সেই করুন রসের ছড়ার মাঝে ঠাঁই নিবে সেটাই এখন প্রশ্ন।