প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের ভৈরব উন্নয়ন এলাকার সাব-অফিসের গাছ কাটা ও বিক্রয় নিয়ে বিবদমান দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে। প্রশিকার কেন্দ্রীয় দুই চেয়ারম্যান মো. আবদুল ওয়াদুদ ও ড. কাজী ফারুক আহমেদের অনুসারীরা রবিবার সকালে এ নিয়ে হাতাহাতিও করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। এ সময়ের মধ্যে অবশ্য ছয়টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ভৈরব থানার ওসি মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘মহিবুল আলমের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রশিকার অফিসে গিয়ে ফলদ গাছ কাটতে দেখি। সংঘাত এড়াতে পরে গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
প্রশিকার ভৈরব সাব-অফিস প্রাঙ্গণের ২৩টি গাছ বিক্রি করে দেন প্রশিকার চেয়ারম্যান মো.আবদুল ওয়াদুদের অনুসারী সহকারী এলাকা সমন্বয়কারী রেজাউল করিম হিরণ। প্রশিকার এক কর্মীর আত্মীয় উপজেলার শিমুলকান্দির মো.গিয়াস উদ্দিন ওই গাছগুলো কিনে কাটা শুরু করেন। ২৮ অক্টোবর কাজী ফারুক আহমেদের অনুসারী প্রশিকার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মহিবুল আলম দলবল নিয়ে গাছ কাটায় বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।
রবিবার সকালে মো. আবদুল ওয়াদুদের অনুসারীরা ফের কাছ কাটার উদ্যোগ নিলে কাজী ফারুক আহমেদের অনুসারীরা বাধা দেয়। ওই সময় প্রশিকার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সুলায়মান ও মো. মহিবুল আলম তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উত্তেজিত দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
-কালের কন্ঠ