শুক্রবার অনুষ্ঠিত ৩০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ২ নম্বর সেটের ইংরেজি অংশে নির্দেশনা ও প্রশ্নে ব্যাপক অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবার ১, ২ ও ৩ নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরমধ্যে ২ নম্বর সেটের ইংরেজি অংশে প্রশ্নের সঙ্গে নির্দেশনার সঙ্গতি ছিল না।
২ নম্বর সেটের সঙ্গে অন্য ২টি সেটের তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২ নম্বর সেটের ৬২ ও ৬৩ নম্বর প্রশ্নের নির্দেশনায় শূন্যস্থান পূরণের কথা বলা হলেও এ সংক্রান্ত ১টি প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে নির্দেশনার উপরে। অন্যদিকে শূণ্যস্থান পূরণের নির্দেশনায় চলে এসেছে বানান সঠিক করার অন্য একটি প্রশ্ন। বানান সঠিক করার নির্দেশনা দিয়ে উল্লেখ করা ২টি প্রশ্নের ১টিতে বাচ্য পরিবর্তনের একটি প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়েছে।
অন্যদিকে বাচ্য পরিবর্তনের নির্দেশনা দিয়ে করা ৩টি প্রশ্নের ২টিতে বাগধারা পরিবর্তনের প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়েছে। বাগধারার নির্দেশনায় ৩টি প্রশ্ন থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ২টি। এরমধ্যে আবার ১টিতে ব্যাকরণগত শুদ্ধি/অশুদ্ধি নির্ণয় সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়।
অন্যদিকে ব্যাকরণগত শুদ্ধি/অশুদ্ধি নির্ণয়ের ২টি প্রশ্ন থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৩টি। এখানে শূন্যস্থান পূরণের ২টি প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি প্রশ্নগুলোরও একই অবস্থা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী এসএম ফরিদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এতোগুলো প্রশ্নে ভুল থাকটা স্বাভাবিক নয়। এটাতো এক ধরনের খামখেয়ালী। রাষ্ট্রতো এভাবে খামখেয়ালী করতে পারে না। তাদের ভুলের কারণে হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।” তিনি অবিলম্বে এর সংশোধন দাবি করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সা’দত হুসেইন বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। আগামী রোববার পিএসসির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।