পঞ্চাশে পা রাখতে যাচ্ছে বৃটিশ রক ব্যান্ড ‘দ্যা রোলিং স্টোনস’। বাকি আর মাত্র ২ বছর। ১৯৬২ সালের এপ্রিলে জন্ম নেয়া এই ব্যান্ড নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তাদের যাত্রার অর্ধশতাব্দী পূরণ করতে যাচ্ছে ২০১২ সালে। এ উপলক্ষে তারা যখন ট্যুরের পরিকল্পনা করছে, ঠিক তখনই গুজব রটেছে যে, এই ট্যুরটিই নাকি হবে কিংবদন্তীর বৃটিশ রক ব্যাণ্ড রোলিং স্টোনস এর শেষ সফর। বয়সের কাছে হার মেনে ব্যান্ড ভেঙে দিতে যাচ্ছে রোলিং স্টোনস। আবার সেটা যে নিছকই গুজব, অনেকে আবার সেকথাও বলছেন। ব্যান্ডের ড্রামার চার্লি ওয়াটস অবশ্য বলেছেন যে, তারা এখনই থামছেন না।

কিথ রিচার্ডস আর মিক জ্যাগার একসঙ্গে কেন্টের ডার্টফোর্ডে অবস্থিত ওয়েন্টওয়ার্থ প্রাইমারি স্কুলে পড়তেন। সেটা ১৯৫০ সালের কথা। এরপর দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ ছিলো না এই দুজনের। ১৯৬০ সালে হঠাৎ করেই স্কুলবন্ধু মিক জ্যাগার আর কিথের দেখা হয়ে যায়। এরপর তাদের আরেক বন্ধু ডিক টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে একটা ব্যান্ড দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা। ব্যান্ডের নাম দেন ‘দ্যা রোলিং স্টোনস’। একে একে ব্যান্ডে আরো যোগ দেন ব্রায়ান জোন্স, ইয়ান স্টুয়ার্ট আর টনি চ্যাপম্যান। আর ব্যান্ডের ম্যানেজার নিযুক্ত হন লুগ ওল্ডহ্যাম নামের ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ। এরপর ওল্ডহ্যাম রোলিং স্টোনের দায়িত্ব নিয়ে একে সেসময়ের আরেক বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলস এর প্রতিদ্বন্দী করে তোলার কাজে নেমে পড়লেন। ১৯৬৩ সালের ৭ জুন রোলিং স্টোনের প্রথম গান মুক্তি পায়। তবে সেটা তাদের মৌলিক কোনো গান ছিলো না। গানটি ছিলো মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী চাক বেরির ‘কাম অন’। সে বছরই ওল্ডহ্যাম তাদের ব্যান্ডের প্রথম বড়ো কনসার্টটির আয়োজন করেন। এরপর জুনে ব্যান্ডটি তাদের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ট্যুর করে। এই ট্যুর করতে এসে তারা মাডি ওয়াটার সহ আরো অনেক গুরুস্থানীয় ব্যান্ড ও গায়কের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। আর এর মাঝেই তারা তাদের প্রথম একক অ্যালবামের কাজ শেষ করেন।

১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে বৃটেনে মুক্তি পায় তাদের দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘দ্যা রোলিং স্টোনস টু’। অ্যালবামটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছিলো ফেব্রুয়ারি মাসে। এ সময়েই তারা তাদের প্রথম অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড ট্যুরটি করেন। ১৯৬৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম তাদের একটি গান ‘দ্যা লাস্ট টাইম’ বৃটিশ টপচার্টের শীর্ষে ওঠে। ইন্টারন্যাশনাল টপচার্টে রাজত্ব করতেও খুব একটা দেরি হয় না তাদের। মে মাসেই তাদের ‘স্যাটিসফেকশন’ গানটি ইন্টারন্যাশনাল টপচার্টের শীর্ষে ওঠে।