আশুগঞ্জে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিবদমান দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় প্রায় ২০-২২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও শটগানের গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের তালশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে পেঁৗছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তালশহর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু শামা ও ইউপি মেম্বার শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এর আগে দু’দলের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
এসব ঘটনার জের ধরে গতকাল সকাল ১০টায় আবু শামা চেয়ারম্যানের লোকজন প্রতিপক্ষ শহিদ মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালালে দু’দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তালশহর-আশুগঞ্জের রাস্তায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় দলের কর্মীরা ২০-২২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে ও শটগানের গুলি ছুড়লে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও র‌্যাব-৯-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পেঁৗছে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে হৃদয় মিয়া, হারুন মিয়া, হুমায়ুন কবীর, নওশাদ মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আলম মিয়া, আবুল বাশার, আনিছ মিয়া, আবুল ফজল, বিল্লাল মিয়া, ইব্রাহিম, ইসহাক মিয়া, ছায়েদুল হক, রাশেদুল হক, খোরশেদ আলম, মানিক, গোলাপ, জয়নাল ও আল-আমিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা
নেয়। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। তিনি জানান, শর্টগানের গুলি নয়, ককটেলের স্পিল্গন্টারে কয়েকজন আহত হয়েছে।