কিশোরগঞ্জের হাওরে আবার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে মালামাল ও যাত্রী বোঝাই একটি ট্রলার মিঠামইনের গোপদিঘি ইউনিয়নের জালখালী এলাকার ঢালারপাড় হাওরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়। ট্রলারে ৪১ জন যাত্রী ছিল। ৩৯ জন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও দুজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁরা হলেন_করিমগঞ্জের নোয়াবাদ ইউনিয়নের পাড়াবালিয়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী নূর আলীর ছেলে আবু বকর (৫৫) ও নোয়াবাদ গ্রামের খুরশেদ মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ মিয়া (৩০)।

গতকাল দুপুর পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি। ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি করিমগঞ্জের জহিরাবাদ গ্রাম থেকে মিঠামইন যাচ্ছিল। ট্রলারের যাত্রী কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া জানান, স্থানীয় লোকজন নৌকা নিয়ে এগিয়ে না এলে সবাই মারা যেতেন। রাতের অন্ধকারে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় যাত্রীরা রক্ষা পান। মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, সোমবার হাওরে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউ ছিল। এ ঢেউয়ে নৌকা চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা উপেক্ষা করে সন্ধ্যার পর মিঠামইনের উদ্দেশ্যে ট্রলারটি ছাড়ে। গোপদিঘি ইউনিয়নের জালখালী এলাকার ঢালার হাওরে পৌঁছলে রাত ৮টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। মিঠামইন থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় লোকজন ২৬ জনকে উদ্ধার করে। ১৩ জন সাঁতরিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। বাকি দুজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মিঠামইন থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় লোকজন ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ডুবুরিরা এসে পৌছলে উদ্ধারকাজ পুরোদমে শুরু হবে। তিনি জানান, ঢেউ ছাড়াও অতিরিক্ত মালামাল ও যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ট্রলারটি ডুবেছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে হাওরে বেশ কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক যাত্রী প্রাণ হারিয়েছে।