কিশোরগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের ক্ষরস্রোতা নদী নরসুন্ধা।কালের বির্বতনে আজ তা প্রায় তার র্সবস্ব হারাতে বসেছে।কিশোরগঞ্জের উপজেলা হোসেনপুরের কাছে বাধঁ নির্মানের ফলে নদী আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।এই নরসুন্ধা নিয়ে অনেক আগে থেকেই কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছে ।কিন্তু তা ফলপ্রসো হচ্ছে না।তা শুধু সভা-সেমিনার পযর্ন্তই বিদ্যামান ।নরসুন্ধার জায়গা অল্প বা বেশী,ভরাট বা দখল হয়েছে অনেক অংশে-যা বর্তমানে বহাল তবিয়াতে আছে।সাধারন জনগন থেকে-কিশোরগঞ্জ পৌরসভা কারো এই ব্যপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই।আর নরসুন্ধা মুর্মূষ ‍অবস্থা ।

যেমন:বলা হয়ে থাকে নদীতে যদি কচুরিপানা হয় বা স্থায়ী ভাবে ভেসে থাকে তবে তাকে নদী বলা যায় না। তেমনি নরসুন্ধাকেও এখন আর নদী বরা যায় না, কারন নরসুন্ধাতে এখন শুধু  কচুরিপানা না জলজ গাছ পযর্ন্ত নদীতে জন্মাতে শুরু করেছে।দেখলে বোজার উপায় নাই,এইটা নদী না মাঠ।কিশোরগঞ্জের সাধারন খাল গুলোর অবস্থা নরসুন্ধার চেয়ে অনেক ভাল।খালের জায়গা ভরাট হচ্ছে বহুগুনে ,কিন্তু সেই সব খালে একটা ডুবতো দেওয়া যায় কিন্তু  নরসুন্ধাতে গরমের সময় একটা কুকুরও গোসল করে না ।

বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক সময় দেখা যায় নরসুন্ধাকে নিয়ে বিভিন্ন রির্পোট,কিন্তু উপর মহলের কোন সারা নেই।তবে নরসুন্ধা র্পূন যৌবন পেলে কিশোরগঞ্জ সদরের কিছু সমস্যার সৃষ্টি হলেও,এই নদীর মাধ্যমে হাজার মানুষের র্কমসংস্থানের উপায় ছিল।পন্য পরিবাহন ও যাতায়তের মাধ্যম হিসাবে নদী বিরাট ভুমিকা রাখতে পারত।অতীতে এই নদী দিয়ে বড় বড় পালতোলা নৌকা চলতো।ঢাকা থেকে সরাসরি কিশোরগঞ্জ নদী যোগে আসা যেত,এখন এমন পালতোলা নৌকা বা বড় নৌকা চলার দরকার নেই শুধু একটা ছোট ডিঙ্গে নৌকা ভালভাবে যাতে চালানো যায় এই ব্যবস্থাটা যদি প্রশাসন করে দেন।তবে কিশোরগঞ্জের নরসুন্ধার পাড়গুলোও অনেক দর্শনীয় স্থান হতে পারে।