দাও ফিরিয়ে মোর সেই শিশু মন যা ছিল অতি পবিত্র,
পাপ ছিল নাকো কোন মনে, খেলার বাসরে স্পর্শিলে পর নারীর গাত্র।
ডুবে রইতাম খেলার আসরে, খেতাম মাটির পোলাও নিত্য,
ছিল না দেহে আদিম যাতনা, বুঝতাম না একাকীত্ব।

ধুলার পোষাক পরে থাকতাম, তুলার পোষাক উপাড়ি,
খেলার শেষে খেলাঘর ভেঙে হর্ষিত মনে ফিরতাম বাড়ি।
আহার নিদ্রার ছিল না চিন্তা, ছিল না মনে মধুর স্বপন,
সারাটি দিন টো টো করি ঘর লইতাম সন্ধ্যা-লগন।

পরম আদরে মা গা ধুইয়ে মুখে তুলে দিত আহার,
কপালে চুমু এঁকে শুয়াইত পাশে, আমার বাসনা খেলায় যাবার।
ঘুম পাড়ানি গানের তালে, ঘুম পরীরা এসে,
যতন করে আগলে নিত আমায় ঘুমের দেশে।

ভোর না হতেই আযানের সুর, পাখিদের কলরবে,
ঘুম পরীরা আমায় ধরায় রেখে তারা যেত উবে।
পোড়া মরিচে পান্তা ভাত নুন মেখে খেয়ে,
মায়ে জাগার আগেই আমি খেলায় মিশতাম যেয়ে।
হয়েছে বয়স, পরেছি কাপড়, ছেড়েছি খেলাঘর,
জীবন-জীবিকার কত চিন্তা নাই একটু অবসর।

মমতাময়ী মা আর ঘুম পরীদের আর কি দেখা পাবো,
ফিরিয়ে নাও এই বয়সের ভার, আমি আবার শিশু হবো।