কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার হাওরের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার সময় নির্যাতন করে মত্স্যজীবী বরুণ বর্মণকে হত্যার ঘটনার ২৫ দিন পরও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, উপজেলার এলংজুড়ি জলমহালে গত ২৪ জানুয়ারি মাছ ধরতে গেলে পার্শ্ববর্তী বাজে জলকর ও ইটনা জলমহালের নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাবশালী চক্রের লাঠিয়াল বাহিনী বরুণকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে। এ ঘটনায় গত ৩০ জানুয়ারি বরুণের ভাই অরুণ বর্মণ বাদী হয়ে ইটনা থানায় মামলা করেন।

এতে বাজে জলকর জলমহালের নিয়ন্ত্রণকারী দেওয়ান আবদুর রহিমের লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য এনায়েত কবির, আলম মিয়া, গোলাপ মিয়া, লিটন মিয়া, মঈন উদ্দিন, জাবেদ মিয়া, জিল্লু মিয়াকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের দুদিন পর এলাকাবাসী ধনু নদীর মোহনায় কচুরিপানার নিচে তাঁর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। অরুণ বর্মণ অভিযোগ করেন, মামলা করার দীর্ঘদিন পরও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অথচ তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসত।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল হাসেম প্রথম আলোকে বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্তের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।

-Prothom Alo