কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাঙ্গা বাজারে মাছের আড়তে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ১৩ জনকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার দুপুরে চৌগাঙ্গা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কৃষ্টপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও বিরারভিটা গ্রামের মতিউর রহমানের মধ্যে মাছের আড়তের আধিপত্য নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। দুই গ্রামের লোকজনই চৌগাঙ্গার মাছের আড়তে তাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে।

ওই দুই ব্যক্তির ঝগড়ার খবর তাদের গ্রামে পৌঁছলে দুগ্রামের লোকজন রণসাজে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুপুর দেড়টার দিকে ওই দুই গ্রামের কয়েক শ মানুষ চৌগাঙ্গা বাজারে রামদা, বর্শা, ঢাল, টেঁটা, হলঙ্গাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে নামে। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে।

খবর পেয়ে ইটনা থানা পুলিশ ও কিশোরগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা দীর্ঘক্ষণ পর সংঘর্ষ থামায়। চৌগাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী বিরারভিটা গ্রামের আহত চুন্নু মিয়া জানান, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষ্টপুর গ্রামের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। একই অভিযোগ কৃষ্টপুর গ্রামের লোকজনেরও।