আসছে ঈদুল আযহা। এরই মধ্যে আসন্ন ঈদে ঘরে ফেরার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ঈদের আগের মুহূর্তে বাস কিংবা ট্রেনের টিকেট পাওয়া নিয়ে প্রতিবারই টিকেট কাউন্টারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয় যাত্রীদের।

অন্যদিকে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ উঠে প্রতিবারই। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকেট বিক্রির কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মাসুম বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে আগামী ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই গ্রাহকরা আগামী ৩ নভেম্বর থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ বিশেষ টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।

বাংলানিউজকে তিনি আরও বলেন, এতদিন শতকরা ১০ ভাগ টিকেট মোবাইলের মাধ্যমে বিক্রি করা হতো। তবে এবারই প্রথম শতভাগ টিকেট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অবিক্রিত টিকেটগুলো নির্দিষ্ট তারিখের পাঁচ দিন আগে স্টেশনের কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে বলে তিনি বাংলানিউজকে জানান।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রিতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবাদাতা কমপিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)। সিএনএস এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, আগ্রহী যাত্রীরা ভ্রমণের ১০ দিন আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। তবে এবারে শুধু গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংকের মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা গ্রামীণফোনের প্রায় দুই হাজার বিল পে চিহ্নিত দোকান এবং গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ‘মোবিক্যাশ রিফিল’ সংগ্রহ করে টিকেট ক্রয় করা যাবে। আর বাংলালিংকের ৫০০টি মোবাইল ক্যাশ পয়েন্ট থেকে টিকেট ক্রয় করা যাবে।

এ মুহূর্তে শুধু ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যে কোনো গন্তব্যের জন্য আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট ক্রয় করা যাবে। অচিরেই দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, খুলনা, সিলেটসহ দেশের গুরত্বপূর্ণ রুটের জন্য এ সেবা উন্মোচিত করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের যে কোনো মোবাইল থেকে ১২০০ নম্বরে ফোন করে রেলওয়ে টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া সিএনএসের ৯১৩০৮৯৬ বা ৯১৩০৬৪৬ নম্বরে ফোন করেও প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে। আর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তথ্য জানতে www.railway.gov.bd এ সাইটে তথ্য পাওয়া যাবে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি

মনোয়ারুল ইসলাম/শরিফুল ইসলাম