ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বর্তমান যুগে তথ্য-আদান প্রদানের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। কিন্তু রোমানদের আমলে এক সময় ইন্টারনেট বলে কিছুই ছিল না। তখন চিঠির আদান-প্রদান করা হতো পায়রার মাধ্যমে। সেই পায়রাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর গতি ব্রডব্যান্ডের চেয়ে কম হবে বলে আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হলেও সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত এক প্রতিযোগিতায় দেখা গেছে, পায়রার গতিও ব্রডব্যান্ডের গতির তুলনায় বহুগুণ বেশি হতে পারে। খবর বিবিসি টেকনোলজির।

প্রতিযোগিতায় পায়রাগুলোকে একটি ফার্ম থেকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং একই সময়ে ৩০০ মেগাবাইটের একটি ভিডিও ফাইল আপলোডের কাজ শুরু করা হয়। দেড় ঘণ্টা পর পায়রাগুলো ১২০ কিলোমিটার দূরে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়। অন্যদিকে ভিডিও ফাইলের মাত্র ২৪% আপলোড সম্পন্ন হয়। এতে করে স্পষ্ট বোঝা যায় সে এলাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি কতোটা ধীর।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে যথেষ্ট দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও গ্রাম্য এলাকার অবস্থা ভিন্ন। সেখানে ইন্টারনেটের গতি এতোটাই কম যে সাধারণ পায়রাও সেই গতিকে হার মানাতে পারে। গ্রাম্য এলাকার ইন্টারনেটের দূরবস্থা সবার নজরে আনতেই ব্যতিক্রমধর্মী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেখানকার লোকজন।

ব্যতিক্রমী এই প্রতিযোগিতার আয়োজক ট্রেফ ডেভিস জানিয়েছেন, পায়রাগুলো ১২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দুই ঘণ্টা সময় নেবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আর ৩০০ মেগাবাইটের ফাইলটি আপলোড হতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় নেবে।’

ডেভিস আরো জানিয়েছেন, যে ফার্মে প্রতিযোগিতা চালানো হয়েছে সেখানকার ইন্টারনেটের গতি ১০০ থেকে ২০০ কিলোবিট পার সেকেন্ড (১২ থেকে ২৫ কিলোবাইট পার সেকেন্ড)। তার মতে, সেখানকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের হোমওয়ার্ক ও অন্যান্য লোকজনের বিভিন্ন ফরম জমা দেয়াসহ জরুরি কিছু কাজ অনলাইনেই করতে হয়। বৃটেনে প্রায় সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ অনলাইন নির্ভর করে দেয়ার প্রকল্প আরো আগেই হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার।

বৃটেনের গ্রামাঞ্চলে যে গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে অভিমত ডেভিসের।

বিডিনিউজ