একটি ছোট ছেলে মাত্র চার কি পাঁচ বয়স। একদিন বাবা তাকে একটা কম্পাস কিনে দিলেন । তা দেখে তো সে বিস্মিত। ঘুমানোর সময়ও এইটা নিয়ে তার কৌতূহল যায় না। বাবার কাছে প্রশ্ন- আচ্ছা বাবা কম্পাস উত্তর-দক্ষিন মুখ করে থাকে কেন? বাবার উত্তর- কারণ আছে। কিন্তু উত্তর তো হল না। রাতের বেলা এই বাবুটির ঘুম হয় না। মাঝ রাতে বাবা এসে দেখে ছোট বাবু ঘুমায় নি। আর বাবাকে দেখে তার প্রশ্ন- কম্পাসের কাঁটা কেন কেবলই এক দিকে মুখ করে থাকে? বাবা গম্ভীর গলায় বলল- চৌম্বকত্ব , আর বললেন ঘুমিয়ে পড়, অনেক রাত হয়েছে। ঘুমাতে ঘুমাতে ছোট বাবুর ভাবনা-হুম!!চৌম্বকত্ব! বড় হয়ে ব্যাপারটা আরো ভালো করতে বুঝতে হবে। বড় হয়ে ঠিকই বুঝেছিলেন সেই ছোট বাবুটি। আর তাইতো তড়িৎচুম্বকীয় মূলনীতি সংস্কার করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আপেক্ষিক তত্ত্ব, আর বিবেচিত হয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে। সেই দিনের ছোট বাবুটিই ১৮৭৯ সালের এই দিনে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন।

তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য।বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার রয়েছে ব্যাপক অবদান। ৫০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং কিছু বিজ্ঞান-বহির্ভূত পুস্তকে রচনা করেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে “শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি” হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়া বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি ভোট গ্রহণের মাধ্যমে জানা গেছে, তাকে প্রায় সবাই সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।আজ এই বিজ্ঞানির ১৩৩ তম জন্মদিন। তাই আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানীকে।

[ছবিতে ১৪ বছর বয়সি আলবার্ট আইনস্টাইন]
কৃতজ্ঞতা ~ সামহোয়ার ব্লগের মোঃ রফিকুল ইসলাম