যা কিছু প্রথম, তা সব সময়ই প্রথম। হতে পারে, প্রথম আবিষ্কৃত তথ্যটা হয়তো পরে দেখা গেল, প্রথম নয়; তারও আগে কিছু আছে। কিন্তু সেটিও হবে প্রথম। কাজেই প্রথম চিরকালই প্রথম।

এনসাইক্লোপিডিয়া

রোমান সাম্রাজ্যে অত্যন্ত পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন মার্কাস টেরেনটিয়াস ভারো। তিনি খ্রীষ্টপূর্ব প্রথম শতকে দুটি পুর্নাঙ্গ তথ্যকোষ বা এনসাইক্লোপিডিয়া রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর রচিত অ্যান্টিকুইটিস অব থিংস হিউম্যান অ্যান্ড ডিভাইন নামের তথ্যকোষটিকেই পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম তথ্যকোষ হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এটি রচিত হয়েছিল খ্রীষ্টপূর্ব ৪৭ সালে। এই তথ্যকোষটি ৪১টি খণ্ডে বিভক্ত ছিল। এর একটিতে ছিল পুরো তথ্যকোষটি ব্যবহারের নির্দেশিকা। প্রথম ২৪ খণ্ডে আলোচিত হয়েছিল মানুষ, স্থান, কাল ও বিভিন্ন ঘটনাবলী নিয়ে। বাকি খণ্ডগুলোতে ছিল বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, উৎসব, ক্রীড়ানুষ্ঠান ও আধ্যাতিকতা নিয়ে আলোচনা।

মার্কাস টেরেনটিয়াস ভারোর অপর তথ্যকোষটির নাম ডিসিপ্লিনারেম। এই তথ্যকোষটি মোট এগারোটি খণ্ডে বিভক্ত। এই তথ্যকোষের বিভিন্ন খণ্ডে ভাষার উচ্চারণ, ব্যাকরণ, কাব্যের ছন্দ, গণিত শাস্ত্র, জ্যামিতি, জ্যোতিষশাস্ত্র, সঙ্গীত, ভূগোলবিদ্যা, ওষুধশাস্ত্র ও স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

-prothom alo