কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গত রোববার দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় নিহত আল-আমিনের লাশ গতকাল সোমবার দাফন করা হয়েছে। আল-আমিনের আত্মীয়স্বজন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
নিহত আল-আমিনের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে ময়নাতদন্তের পর পুলিশ সহস্রাম গ্রামে স্বজনদের কাছে আল-আমিনের লাশ হস্তান্তর করতে গিয়ে কয়েক শ গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়ে। আল-আমিনের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে স্লোগান দেন। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদের পর রাতে পরিবারের লোকজন লাশ গ্রহণ করেন। গতকাল দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে আল-আমিনের মরদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে গতকাল সকালে গচিহাটা পল্লি একাডেমি মাঠে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজবাহার আলী শেখ, দুলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান খুর্শিদউদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শান্তিসভা করেন। সেখানে সহস্রাম গ্রামের লোকজনকে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে রোববারের ঘটনায় কটিয়াদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুনসুর বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত নয়জনকে আসামি করে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া মুনসুর, মুনসুর আলী, জামাল, নজরুল, ইসলাম, শফিকুল, বাদল, মানিক, রফিককে গতকাল সকালে আদালতে পাঠালে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
নিহত আল-আমিনের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ, পুলিশের গুলি ও প্রতিপক্ষের আঘাতে তিনি নিহত হন। তাঁরা আদালতে হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ আহমেদ জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তিনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মন্তব্য করবেন না। নিহতের পরিবার থানায় মামলা করতে এলে মামলা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রোববার কটিয়াদীর গচিহাটায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বন্দুকের গুলিতে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আল-আমিন নিহত ও পুলিশের সদস্যসহ প্রায় ২০০ লোক আহত হন।