আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার মত যে কোনো কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করবে সরকার।

সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন একথা জানান।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ আসমা জেরীন ঝুমুর প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটার মত যে কোনো কার্যক্রম কঠোর হস্তে দমন করা হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে তথ্য সঙগ্রহের জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে।”

গাজীপুর-৫ আসনের সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকীর আরেক প্রশ্নের জবাবে সাহারা বলেন, “সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করে থাকে যা প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হয়।”

সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ছাত্রী উত্যক্তকরণ নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর আইন প্রণয়নের বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।

চাঁদপুর-৪ আসনের সাংসদ হারুনর রশিদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের মে মাস পর্যন্ত ১৮ হাজার ছয়’শ ২৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে, ১১ হাজার তিন’শ ৪০ টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে এবং ৪ হাজার তিন’শ ৩৮ টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ শাহিন মনোয়ারা হকের প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, “জরাজীর্ণ কারাগারগুলো সংস্কারের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ২৭টি জরাজীর্ণ কারাগারের স্থলে নতুন কারাগার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে এবং ১৪টি কারাগার নির্মাণ কাজ চলছে।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চারটি কারাগার নতুন ভাবে করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ তারানা হালিমের প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন জানান, ২০১০ সালের ৬ জুন পর্যন্ত কারাগারগুলোতে ৭৭ হাজার ৮০৫ জন বন্দি আটক আছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশের প্রায় সব কারাগারেই ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশী বন্দি আটক আছে।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন জানান, বিভিন্ন দেশের এক হাজার ৪৮ জন বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী ও বিচারাধীন আসামি বিভিন্ন কারাগারে আটক আছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী করতে জনবল বাড়ানোর জন্য এরমধ্যে ৩০ হাজার ৩১ জন নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৩ হাজার ৩৯১ জন বিভিন্ন পদবীর পুলিশ সদস্য নিয়োগের কাজ চলমান আছে।