কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মলয় কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে গড়িমসি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের মড়লপাড়া গ্রামের রিকশাচালক হারুন অর রশিদের স্ত্রী হাদিছা ৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মসূয়া ইউনিয়নের সহকারী তহশিলদার শফিকুল ইসলামের বাসায় রিকশাচালক হারুন অর রশিদের নয় বছরের শিশুকন্যা পলি গৃহপরিচারিকার কাজ করত। ওই বাসার গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী গত ১০ জুলাই পলির দেহের বিভিন্ন অংশে দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে ঝলসে দেন। এ ব্যাপারে পলির মা হাদিছা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মলয় কুমার চক্রবর্তী আসামিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বাদী হাদিছা ও সাক্ষী পলির মামাকে থানায় এনে আসামিদের ধরার আশ্বাস দেন। বিনিময়ে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর পলি এবং তার মা ও মামা আদালত প্রাঙ্গণে এসে মলয়কে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দেন। এরপর মলয় পলির মা ও মামাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে পলিকে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করান। পলির মা হাদিছাকেও ভুল বুঝিয়ে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে মামলাটিতে আপসের এফিডেভিট তৈরি করেন। পরে ৩ অক্টোবর হাদিছা কিশোরগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদলতে এসআই মলয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এসআই মলয় কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘পলির মা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করেছেন। মামলার তদন্তকাজে আমার কোনো গড়িমসি ছিল না। বাদী এবং বিবাদীর পক্ষের কারও কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করিনি।’