ইন্টিগ্রেডেড শিক্ষাব্যবস্থার কারনে আন্ডারগ্রেডে মাইক্রো ইকোনমিক্স এবং ম্যাক্রোইকোনমিক্স নামে দুটো কোর্স (বাধ্যতামুলক) করতে হয়েছিলো। ক্লাশের মাল মশলা এবং আমার লালচুলের বিশাল বপুর প্রফেসর ডঃ পল হার্বির অত্যান্ত নিচু গলার মাছি প্যানপ্যানে স্বরের “পড়ান ধরনে” বিদ্যাদেবী কে বলেছিলাম সামর্থ্য দিও কোন প্রকারে “c”পেয়ে উৎরিবারে রসকশহীন অর্থনিতী বিদ্যা। দেবী আমাকে বিমুখ করেন নি, আমার শিক্ষাজীবনের টান্সক্রিপ্টে একমাত্র দুটো “c” “স্কারলেট লেটার” হয়ে ছাপ মেরে আছে। যতবার আমি “C” দুটো দেখি, বিশ্বের সকল অর্থনিতীবিদ এবং অর্থনিতীর ছাত্রছাত্রীদের উপর আমার সম্মান বাড়তে থাকে প্রতিনিয়ত xt=xo(1+r)t রেটে।

যাক, বিষয়টী হলো- দেশ এখন নিম্নআয় এর ব্র্যকেট থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। খুবি সুখকর এবং আনন্দের ব্যাপার। সংশিলষ্ট সবাই কে খোশামদেদ। নিঃসন্দেহে পৃথীবির বড় বড় অর্থনিতীর বিজ্ঞজনে’রা হয়তো নানা রকম ফরমুলা ফান্দের ফন্দিফিকিরে এ বিষয়টির স্বতঃসিদ্ধতা তে উপনীত হয়েছেন। আমার মতো “c” ওয়ালাদের বোধগম্যতার বাইরে। কিন্তু দুদিন যাবত যে জিনিশ গুলু আমাকে ভাবচ্ছে তা হলো, পাকিস্তান , ব্রক্ষ্মদেশ আর আফ্রিকার অনাহারী দেশ ও যদি নিম্নমধ্যম আয় ব্রাকেট বন্দী হতে পারে, তা’হলে, আহামরি আমরা কি অর্জন করে ফেলেছি? আর যদি দৈবাৎ অর্জনটা করে ফেলেই থাকি, তাহলে আয়কারী দের ব্র্যাকেটটা কোথায়? এটার ও একটি সুনিদ্দৃষ্ট সীমা রেখায় অবস্থান জানা প্রয়োজন। অর্থাৎ “ষ্ট্যান্ডার্ড মীন ডেভিয়েশন” টা কোথায়। সিংহভাগ জনগনের মাথাপিছু বাৎসরিক গড় আয় (?) কিভাবে জাতীয় রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে “কম্পিঊটেড” হলো, জানতে বড়ই ইচ্ছা করে। টাকার মান দেশে অনেক কমেছে, এটা তো নিশ্চিত। একজন আমাকে একদিন দুঃখ করে বলেছিলো “ভাই আগে পকেট ভর্তী টাকা নিয়ে ব্যাগভর্তী বাজার করতাম এখন ব্যাগ ভর্তী টাকা নিয়ে পকেট ভর্তী বাজার করি” টাকার মান যে কি নিদারুন ভাবে কমছে এটা বন্ধু জনের খেদ থেকে সহজেই অনুমেয়।

কিছু কিছু শব্দ আমার কাছে বেশ বিভ্রান্তি কর , যেমন অভাবগ্রস্থ গরীব দেশগুলুকে কে আখ্যায়িত করা হয় ডেভেলাপিং কান্ট্রী “উন্নয়নশীল দেশ “আর ধনী দেশ গুলু “ ডেভোলাপড কান্ট্রী”। অনেক তৈল ধনাঢ্য দেশ তো আমাদের দেশকে বলে “মিশকিন” দেশ, আবার মার্কীন দেশ তো অনেক আগেই তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ ও বলেছে । সুতরাং বেশীর ভাগ সময়ে বিভিন্ন উচ্ছিলাতে বিভিন্ন লিল্লাহ ছদগাহ বা অন্যান্য ফান্ড থেকে অনুদান/ঋণ সহযোগিতা প্রাপ্ত দেশগুলুকে “গরীব দেশ” বললে অসুবিধা টা কোথায়! যাক, বিশ্বব্যাঙ্ক যেহেতু আমাদেরকে নিম্ন আয় ‘য়ের দেশ থকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশ বলে “পদোন্নতিঃ দিয়েছে, এখন বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজে আমদেরকে “নুনু ন্যাংটা” ক্রেডিট চেক না করে অন্তঃত বড় বড় ব্রীজ নির্মানে বাগড়া না দিয়ে সহজ শর্তে , নিম্ন দরের ঋন সহায়তায় সহযোগিতা করবে – এটা তো অন্ততঃ আশা করতেই পারি।

ছোটবেলাতে অনেক ছেলেরা এস, এস সি পাশ দিয়ে বুক ফুলিয়ে স্যার’দের কে বলতো – স্যার হাইয়ার সেকেন্ড ডিভিশন পাইছি, এক স্যার জবাব দিয়েছিলেন –“খুশী হইছি তুই পাশ করছস কিন্তু বাপজান, তুই যেহেতু ফার্ষ্ট ডিভিশন পাস নাই, তুই সেকেন্ড ডিভিশনই পাইছস, ঐ মাঝখানে “ হায়ার সেকেন্ড ডিভিশন” বলে কনো কথা নাই, অনেক বড় হ বা’জান” ।  আমিও বলি -বাংলাদেশ হউক শক্তিশালী উন্নত, সাবলম্বী একটি দেশ-টাইটেল ভিক্ষার দেশ নয়। বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।