কিশোরগঞ্জে মা-মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের গাইটাল পুরাতন কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, শহরের পুরাতন কোর্টের পেছনে শ্রীনগর এলাকায় নিজের বাসায় স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন গৃহবধূ সালমা আক্তার (৩০)।

অন্যদিনের মতো গতকাল সকালে স্কুলে যায় তাঁর বড় মেয়ে ইতু। একই সময় স্বামী আসাদুজ্জামানও চলে যান শহরের বারো আউলিয়া মোড়ে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। বাসায় ছিলেন শুধু সালমা, তাঁর ছোট মেয়ে সাবাহ (৩) ও কাজের ছেলে খায়রুল (১২)।

প্রত্যক্ষদর্শী খায়রুলের বিবরণ অনুযায়ী, বেলা দেড়টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে বাসায় যান রবিউল নামের এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। তিনি ঘরে বসে সালমার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে হঠাৎ তিনি সালমা ও তাঁর মেয়ে সাবাহর মাথায় কিরিচ দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে খায়রুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় রবিউলকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন গৃহবধূর স্বামী আসাদুজ্জামান। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খায়রুলকে আটক করা হয়েছে।খায়রুল থানায় সাংবাদিকদের বলেছে, ঘটনার সময় সে ছিল রান্নাঘরে। চুলায় ভাত হয়ে গেলে সে সালমাকে ডেকে আনতে গিয়ে দেখে, তিনি ও তাঁর মেয়ে আহত অবস্থায় পড়ে আছে।জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, রবিউলের বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি নিজের ভাঙ্গারি ব্যবসার পাশাপাশি তাঁর দোকানের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতেন। সেই সুবাদে রবিউল প্রায়ই তাঁর বাসায় যাওয়া-আসা করতেন। কিন্তু রবিউল কী কারণে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করেছেন, তা তিনি জানেন না।

স্থানীয় লোকজন জানান, রবিউলকে মাঝেমধ্যে আসাদুজ্জামানের বাসায় আসতে দেখা গেছে। তবে তিনি কোথায় থাকেন, তা কেউ জানে না।কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, রবিউলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে তাঁর স্থায়ী ও বর্তমান কোনো ঠিকানা জানা নেই। ওসি বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

-prothom  alo