কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভায় নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এ জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তা না হলে বিএনপির মনোনীত মেয়র, কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিএনপির মনোনীত মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীসহ ১২ জন নেতা-কর্মীর ওপর হামলাকারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব দাবি ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে দলের স্থানীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।উপস্থিত ছিলেন মেয়র পদপ্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নুরুল মিল্লাত, পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হান্নানসহ দলের মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কুলিয়ারচরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় সিআইপি মুসা মিয়ার পরিবার থেকে। তাঁর এক ভাই আবুল হাসান দলীয় সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। তাঁদের ছোট ভাই আবুল মুনসুর রুবেল দলীয় ক্যাডারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাঁরা চাচ্ছেন মেয়র পদটি ছিনিয়ে নিতে। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে আবুল মুনসুরের নেতৃত্বে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুল্লাহকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের মালিকানাধীন কুলিয়ারচর কোল্ড স্টোরেজে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। একই রাতে তাঁরা মেয়র পদপ্রার্থী নুরুল মিল্লাত, তাঁর ছেলে নুরুল ইসরাত, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আ. লতিফ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আরমানসহ ১২ জনকে আহত করেন।

ওই নির্যাতনের ঘটনায় উপজেলা বিএনপি আজ প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সকালে উপজেলার দাঁড়িয়াকান্দি এলাকার কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সমাবেশ হবে।

-Prothom Alo