কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় মঠখোলা-মনোহরদী-ঢাকা সড়কের মঠখোলায় আড়িয়াল খাঁ নদের বেইলি সেতুটি যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর পরও এর ওপর দিয়ে ২০-২৫ টনের অধিক ওজনের মালবাহী ট্রাক ও বাস চলাচল করছে।

সেতুর কাছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হলেও তা অমান্য করে প্রতিদিন বাস-ট্রাক ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু দিয়েই চলাচল করছে। সওজ সূত্র জানায়, এই বেইলি সেতুটি ১৯৯২ সালে তৈরি করা হয়। ১০ বছর আগেই সওজ বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে পাঁচ টনের অধিক ওজনের যান চলাচল নিষেধ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন অসংখ্য বাস-ট্রাক চলাচল করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, মঠখোলা-মনোহরদী-ঢাকা সড়কে চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি অত্যন্ত নড়বড়ে। সেতুটির কয়েকটি স্থান দেবে গেছে, নাটবল্টু খুলে গিয়ে ওপরের স্টিলের পাটাতন ফাঁকা হয়ে পড়েছে। ১০ বছর ধরে এই দুরবস্থা বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। বাস ও ট্রাকের একাধিক চালক বলেন, মনোহরদী দিয়ে মঠখোলায় ঢোকার কোনো বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই মঠখোলাসহ অন্য এলাকায় ওই সেতু ব্যবহার করে যেতে হচ্ছে। ঢাকা-মনোহরদী পরিবহনের মঠখোলাগামী যাত্রীবাহী বাসের চালক আবু তালেব বলেন, ‘ব্রিজডার অবস্থা খুবই সিরিয়াস ভাই। ১০ বছর ধইর‌্যা চলছে এই অবস্থা। একবার ঠিক করে আবার ভাঙে। আবার ঠিক করে আবার ভাঙে। এইভাবে আর কত দিন চলব।’

সওজ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ করা হলেও তা অমান্য করে যান চলাচল করছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেতুটির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বর্তমানে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাত থেকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী রাখতে সংস্কারকাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুত্রঃ প্রথম আলো