কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির নেতা কবির উদ্দিন আহমদের বাসায় ঢুকে এক অস্ত্রধারী তাঁর ছেলে মাসরুর আহমেদ রুমনকে (৩২) গুলি করেছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তাঁর বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুমন। সাবেক সাংসদের বাসা শহরের ফিশারি সড়কের মাল্টিপারপাস কলোনিতে গতকাল বুধবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সাইফুল ইসলাম জানান, সেহির খাওয়ার পর তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর পাশের একটি কক্ষে মা-বাবা ও অন্য কক্ষে ছোট ভাই রুমন ছিলেন। ফজরের আজানের পর জানালায় খট খট শব্দ শুনে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি জানালা খুলে এক লোককে দেখতে পেয়ে দরজা খুলে বাইরে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তিনি জানান, প্রথমবার ট্রিগার চাপলেও গুলি রিভলবার থেকে বের না হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে রুমন এগিয়ে গেলে অস্ত্রধারী রুমনকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিটি তাঁর বাঁ-পায়ের হাঁটুর ওপরে লাগে। গুলিবিদ্ধ রুমন দরজা বন্ধ করলে দরজায় আরেকটি গুলি এসে লাগে। এ সময় তাঁদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ওই ব্যক্তি তার রিভলবার ফেলে পালিয়ে যায়।সাবেক সাংসদ কবির উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। নামাজ শেষে ফেরার পথে চিৎকার শুনে বাসায় এসে ঘটনা জানতে পারেন। এ ব্যাপারে তিনি দ্রুত মামলা করবেন বলে জানান।

পরিবারের দাবি, দলীয় কোন্দলের কারণে তাঁদের ওপর হামলা হতে পারে। সুমন জেলা যুবদলের নেতৃত্ব পেতে কাজ করছেন। এ নিয়ে দলে কোন্দল আছে। গুলিবিদ্ধ রুমনকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন সাবেক সাংসদের বাসায় গুলি হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলিসহ একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হামলাকারী গুলি ও রিভলবার ফেলে যাওয়ার বিষয়টিকে তিনি রহস্যজনক মনে করছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হলেও পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করছে।