আধিপত্য প্রদর্শন এবং মঞ্চে উঠাকে কেন্দ করে মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর উপসি’তিতে শহরের রথখোলা মাঠে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশ শুরুর আগেই পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় বিবদমান দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মঞ্চের চেয়ার ভাংচুর, ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি-সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় লিপ্ত হলে কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা দিগ্বিদিগ ছোটাছুটি করে সভাস’ল ত্যাগ করে। আহতদের মধ্যে মোঃ এমদাদুল্লাহ (৩২), তানভীর (২৫), রাজন (৩০), তাসভীর (৩০), সোহান (৩০) ও আঙুরকে (৩০) গুরুতর আহত অবসয় কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য এ দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা পরস্পর পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় শহরের রথখোলা মাঠে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে দুপুর ১২টা থেকে ঘোষিত আবদুল্লাহ আল মাসুদ সুমন এবং তারিকুজ্জামান পার্নেলের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সমর্থনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৬-৭ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক মিছিল সহকারে শহর প্রদক্ষিণ করে রথখোলা মাঠে সমবেত হতে থাকে। আনুমানিক ২টার দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ অন্য নেতৃবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। এ সময় আধিপত্য প্রদর্শন এবং মঞ্চে উঠাকে কেন্দ করে এ দুই প্যানেল সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি-হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে উভয় প্যানেল সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মঞ্চের চেয়ার নিয়ে একে অন্যের প্রতি ছুড়ে মারতে থাকে। এরপর উত্তেজনা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।