উন্মাদনায় মেতেছে সাড়া বিশ্ব। আর তাতে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে নেই কিশোরগঞ্জ শহর। প্রতিদিনই অংসখ্য ফুটবলপ্রেমী তাদের নিজস্ব দলকে সমর্থনে মেতে উঠছে। প্রত্যেকেই প্রিয় দলকে সমর্থনের জন্য বাড়ির ছাদে, মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারে, নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে, মটর সাইকেলের সামনে, রিকসা, অটোরিকসা এমনকি বিভিন্ন গাছের মগডালেও টাঙিয়ে যাচ্ছে তাদের সমর্থিত দলের পতাকা। বিশেষ করে বিশ্বকাপ আসরের জনপ্রিয় দু’টি দল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার জ্বরে গা ভাসিয়েছে কিশোরগঞ্জবাসী। এই দুই দলের সমর্থনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই নিজেদের অজানে- চলে তর্ক-বিতর্ক ও বাক-বিতন্ডা। আলোচনার জায়গা হিসেবে জমে উঠেছে চায়ের দোকান, হোটেল, রাস-াঘাট এমনকি বাসাবাড়িও। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে পতাকা বিক্রেতার মধ্যে চলছে রমরমা ব্যবসা। ভ্রাম্যমান ছোট-বড় পতাকা বিক্রেতা হাদিছ মিয়া (২৫) প্রতিদিন গড়ে তার পতাকা বিক্রি হয় এক থেকে দেড় হাজার। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কোন দলের সমর্থন করেন। উত্তরে সে বলল, দলটল বুঝিনা পেটে ভাতে বাঙালী, ব্যবসা ভাল হলেই চলে। আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক দীপক, সে বলে এবার বিশ্বকাপে ফেভারিটের তালিকায় শীর্ষে আর্জেন্টিনা তাই অন্যকোন দলের বিশ্বকাপ জেতার প্রশ্নই উঠেনা। আর যতদিন খেলা দেখব আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করব। ব্রাজিল সমর্থক ব্যবসায়ী সজীব, তার বক্তব্য এবারের আসরে ব্রাজিলে কোন তারকা খেলোয়ার না থাকতে পারে, কিন’ তাতে আমরা থেমে থাকবো কেন? ব্রাজিল সব-সময়ই ফেভারিট এলাকা জুড়ে ব্রাজিলের পতাকা টাঙিয়েছি, ছোট ভাই নূরুল আমিন বানিয়েছে ১২০ হাত পতাকা প্রয়োজনে পুরো কিশোরগঞ্জ শহর জুড়ে পতাকা তৈরি করব, তবু ব্রাজিলের সমর্থন ছাড়বোনা। উল্লেখ্য এই পতাকা উড়াতে গিয়েই আর্জেন্টিনার এক ভক্ত সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামের গেন্দু মিয়ার ছেলে মাহফুজ (২২) টেম্পু চালকের করুন মৃত্যু হয়েছে। তাই বিজ্ঞ মহল মনে করেন সমর্থন করা ভাল, তবে পতাকা উড়ানো বা খেলাকে কেন্দ্র করে কোন দূর্ঘটনায় পতিত হওয়া থেকে সাবধান থাকতে হবে।