কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী পূর্বাচল হিমাগারে প্রায় তিন কোটি টাকার আলুতে এ বছরও পচন ধরেছে এবং বেশির ভাগ আলুতে অঙ্কুরোদ্গম (গাছ) হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে আলু সংরক্ষণের জন্য পূর্বাচল হিমাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বছর কৃষকেরা ভালোই লাভবান হন। কিন্তু পরের বছর থেকে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে বারবার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পূর্বাচল হিমাগারে প্রায় ৭৫ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর চেম্বারে রাখা ১০ হাজার বস্তা আলুর সবগুলোতেই পচন ধরেছে ও অঙ্কুরোদ্গম হয়েছে। ২ ও ৩ নম্বর চেম্বারে আলুতে আংশিক পচন ধরেছে ও অঙ্কুরোদ্গম হয়েছে। এতে কৃষকের প্রায় তিন কোটি টাকার আলুর ক্ষতি হয়েছে।

শ্রীরামদী গ্রামের আলু ব্যবসায়ী শামছ উদ্দিন বলেন, ‘এই হিমাগার তৈরি করতে মালিকের যত টাকা খরচ হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। এখানে প্রতিবছর কৃষকের লাখ লাখ টাকার আলু ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এর ক্ষতিপূরণ চাই।’নারান্দী গ্রামের মুখলেসুর রহমান ও মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের জামানসহ কয়েকজন বলেন, ‘বিদ্যু ৎ না থাকলে জেনারেটর চালু রাখার কথা। কিন্তু জেনারেটর চালু ছিল না। তাই আলুতে পচন ধরেছে। এ ছাড়া কিছুদিন পরপর আলু স্থানান্তর করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এক দিনও তা করেনি।

পূর্বাচল হিমাগারের ব্যবস্থাপক নাজমুল হক বলেন, ‘হাজার খানেক বস্তার আলুতে পচন ধরেছে। এটা প্রতি হিমাগারেই ঘটে থাকে। কৃষকদের আমি চিঠির মাধ্যমে খবর দিয়ে এনে আলোচনা করে তাঁদের সঙ্গে ফয়সালা করে ফেলেছি। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।’ পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেক ইবনে শামছ বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ এলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

-Prothom Alo