অনেক দিন পর আবার লেখলাম।ইচ্ছা ছিল এই ওয়েব সাইডকে নিয়ে আনেক কাজ করার কিন্তু যাদের আসল কাজ করার কথা তাদের তাছাড়া করতে আর করতে পারি না তাই এখন আর নিয়োমিত লিখি না।

এখন ভুমিকা ছেড়ে আসল কথায় আসি:

আমাদের কিশোরগঞ্জে অনেক দিন আগে থেকেই সোডিয়াম বাতি যুক্ত হয়েছে।তার পর ঈদে কিছু দিন চললো আবার বন্ধ পরে স্পিকার এসে আবার এইটা চালু করলো।

আসুন এখন যানি এই সোডিয়াম বাতিটা কি এবং কিভাবে কাজ করে:

সোডিয়াম বাতি এক প্রকার বিদ্যুত খেকো বাতি যা আগে ব্যবহার হতো । প্রতিটি সোডিয়াম বাতি ৭শ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন যা একশ ওয়াটের একটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি লাগালে এর বিদ্যুৎ ব্যবহার সাত ভাগের একভাগে নেমে আসে।তাছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতির আলোর উজ্জ্বলতাও সোডিয়াম বাতির চেয়ে বেশি। সোডিয়াম বাতিতে ঘোলা আলোর বিকিরণ হয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিতে স্বচ্ছ আলোর বিকিরণ হয়। সোডিয়াম বাতির স্থায়িত্ব ৬ থেকে ৯ মাস অন্যদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত টিকে থাকে।

এখন তাহলে কেন এই সোডিয়াম ও ফ্যান্টাসি:

একটি এনার্জি বাল্পের থেকে সোডিয়ামের দাম মুটামুটি বেশী।কিশোরগঞ্জে এই সোডিয়াম বাতি জন্য মোটা টাকার বিল পাশ হয়। এবং টেন্ডরের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়।

যাতে সোডিয়াম বাতির জন্য রাতেও সূযের আলো থাকে।কিন্তু কাজ এখন উল্টো এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ফেন্টার্সি সারা কিশোরগঞ্জে গরমের সময় অতিরিক্ত কারেন্ট যায়।সোডিয়াম কিশোরগঞ্জের বেশ কিছু বড় এলাকায় লাগানো হয় ।শোলাকিয়া,খরমপট্টি,পৈরসভার এলাকা,গাইটালেএবং বেশ কিছু মহলায় কিন্তু সরকার কিছু বড় বড় এলাকা এতে বাদ পরে যার মধ্যে উকিলপাড়া,৩২ এলাকা অন্যতম ।তবে স‍ারা  কিশোরগঞ্জে কেন দেওয়া হল না।এই রকম প্রশ্নের জবাব তাদের কাছে এই সব এলাকায় সোডিয়াম বাতির দরকার নেই।কিন্তু কেন?এই ঘটনাটা শুধুই একটি রাজনৈতিক ব্যাপার ।কিন্তু তাদের জন্য আমরা সাধারন মানুষ এই সোডিয়ামের আলো এবং বিদ্যুতের সমস্যা ভোগ করবো কেন?এইটা আমার প্রশ্ন না এইটা যেইসব এলাকায় সোডিয়াম বাতি যায় নাই সবার কথা।

তাই রাজনীতি হানাহনি অনেক দেখলাম এই বার শন্তিতে কিশোরগঞ্জে থাকতে দিন।সোডিয়ামের দরকার নাই শুধু সারাদিন বিদ্যুত চাই।

কিশোরগঞ্জের আড্ডা গ্রুপ