সিলেটের কৈলাসটিলা ও হরিপুরে নতুন তেল মজুদের সন্ধান পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দুটি ক্ষেত্রে মোট ১৩৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের মজুদ রয়েছে, যার মধ্যে ৫৫ মিলিয়ন ব্যারেল উত্তোলনযোগ্য বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এই তেলের বাজারমূল্য ৪২ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বলে জানান তিনি। কৈলাসটিলা ও হরিপুরে ১৯০ বর্গ কিলোমিটার করে এলাকায় ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে এ দুটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করার পর বাপেক্স গত বুধবার পেট্রোবাংলার কাছে প্রতিবেদন দেয়। দুটি ক্ষেত্রের মধ্যে কৈলাসটিলায় ১০৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স, যার মধ্যে ৪৪ মিলিয়ন ব্যারেল উত্তোলনযোগ্য। এছাড়া হরিপুরের দুটি স্তরের একটিতে ২৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল উত্তোলনযোগ্য। এ তেলক্ষেত্রের অন্য স্তরের মজুদ নির্ণয় করা যায়নি উল্লেখ করে হোসেন মনসুর বলেন, “এই স্তরের তেলের মজুদ জানতে আরো সময় লাগবে।”

প্রেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর জানান, হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে দুটি তেলের স্তর পাওয়া গেছে। যার একটি স্তরে আছে ২৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল। যার মধ্যে উত্তোলযোগ্য হবে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল। এই তেল উত্তোলনের দায়িত্ব কারা পাবে জানতে চাইলে হোসেন মনসুর ইংগিত দেন, এবার ‘দেশি কোম্পানিই’ এর দায়িত্ব পেতে পারে।

“বর্তমান বাস্তাবতায় এই নতুন তেল ক্ষেত্র আবিস্কার বাংলাদেশের জন্য একটি শুভ সূচনা করলো”, বলেন তিনি।

এর আগে ১৯৮৬ সালে হরিপুরে তেলের সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ব্যারেল তেলও উত্তোলন করা হয়েছিল। কিন্তু যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করায় শেষ পর্যন্ত তা বন্ধ হয়ে যায়।

সুত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর