জাবির হলে তল্লাশি, আটক ১৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে সোমবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলে অভিযান চালিয়ে ১৭ ছাত্রকে আটক করেছে সাভার থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু লোহার রড ও পাইপ।

অন্যদিকে স্থগিত ঘোষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সাফিন গ্রুপের পক্ষে মালেক ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্য গ্রুপের আতিকুর রহমান নামে দুই ছাত্রলীগ নেতা আশুলিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

আটক ১৭ জনের মধ্যে ১৩ ছাত্রকে ওই দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আটককৃতরা হচ্ছেন, শিহাব (৩৬ ব্যাচ), হাসান (৩৬ ব্যাচ), পরিতোষ চাকমা (৩৬ ব্যাচ), রাহাত (৩৬ ব্যাচ), আমিনুল (৩৫ব্যাচ), শামীম (৩৪ ব্যাচ), জুনায়েদ পারভেজ (৩৬ ব্যাচ), জাহিদুর রহমান (৩৭ ব্যাচ), তোফাজ্জল হোসেন ইমন (৩৩ ব্যাচ), আলমগীর (৩৫ ব্যাচ), মঞ্জুর আহমেদ রিয়াল (৩৭ ব্যাচ), মোস্তাফিজুর রহমান (৩৭ ব্যাচ) ও মাসুদ রানা (৩৬ ব্যাচ)।

সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে তিন শতাধিক পুলিশ একযোগে অভিযান শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আফম কামাল উদ্দিন, আল বিরুনী ও শহীদ সালাম বরকত হলে। টানা তিন ঘণ্টার এ অভিযানে ওই ১৭ ছাত্রকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১৩ জনকে আশুলিয়া থানায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান আশুলিয়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।

হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের রক্তয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় সহকারী প্রক্টর আসম ফিরোজুল হাসানসহ আহত হন অর্ধশতাধিক।

এ ঘটনায় ১৭ ছাত্রকে সাময়িক বহিস্কার ও ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ। এছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ১৩ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিস্কার করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করে।

অভিযানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভস্টসহ আবাসিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শেষে রাত সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়া থানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক।

অভিযানে কোনো অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একদিকে প্রাকৃতিক ছায়া ঘেরা বিশাল এলাকা অন্যদিকে অভিযানের খবর আঁচ করতে পেরে আগে থেকেই হল থেকে অস্ত্র সরিয়ে রাখে বেআইনী অস্ত্রধারীরা। তবে অভিযান চলতে থাকবে।’

উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি, জড়িত যেই হোক না কেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।’