চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। আগামী অক্টোবরের শেষার্ধে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। আর ফল প্রকাশ করা হবে নভেম্বরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে বড় একক পাবলিক পরীক্ষা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মুহাম্মদ শহীদ খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আগামী ঈদুল আযহার পর অক্টোবরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের ৩৭ হাজার সরকারি ও ৪৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবে। বাংলা, ইংরেজি, পরিবেশ পরিচিতি সমাজ, পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান, গণিত এবং ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আবু আলম মুহাম্মদ শহীদ খান বলেন, “সারাদেশে একই সিলেবাসে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে”।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছর পরীক্ষাটি পরীক্ষামূলকভাবে আয়োজন করে। গত শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষাটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।

মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে এটিই হবে পঞ্চম শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষা। আগের বছরগুলোর মতো বৃত্তি পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হবে না। সমাপণী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে শিক্ষার্থীদের পরের তিন বছর বৃত্তি দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মুহাম্মদ শহীদ খান বলেন, “সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল নভেম্বরে প্রকাশ করা হবে। এ ফলাফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে হবে”।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, “এ পরীক্ষাটিই হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক পাবলিক পরীক্ষা”।

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে আগামী ৮ জুলাই সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ।

মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মুহাম্মদ শহীদ খান বলেন, “পরীক্ষা আয়োজনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে”।