নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন, এনডিসি, পিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৃতীয় স্বল্পমেয়াদি কোর্সে ৩০ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। জেনারেল মুবীন সেনাবাহিনী প্রধান নিযুক্তির আগে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। কমান্ড পর্যায়ে তিনি ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন ছাড়াও দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে অধিনায়ক, একটি পদাতিক ব্রিগেডে কমান্ডার এবং দুটি পদাতিক ডিভিশনে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্টাফ পর্যায়ে তিনি একটি স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড সদর দপ্তরে ব্রিগেড মেজর, পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে জিএসও-১, সেনাবাহিনী প্রধানের সচিবালয়ে সেনাবাহিনী প্রধানের একান্ত সচিব এবং সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ-এ মহাপরিচালক এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডিএসসিএসসি, মিরপুর থেকে স্টাফ কোর্স এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ মিরপুর থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে চিফ অব স্টাফ (উত্তরাঞ্চল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি জীবনে জেনারেল মুবীন চীন ও ভারতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করা ছাড়াও দেশে-বিদেশে অনেক সেমিনার, সম্মেলন, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি মোজাম্বিক, চীন ও ভারত ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কুয়েত, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জিম্বাবুয়ে সফর করেছেন।

লে. জেনারেল আব্দুল মুবীনের পৈত্রিক নিবাস অষ্টগ্রামের ভাদরপুর গ্রামে । জেনারেল মুবীনের স্ত্রীর নাম সৈয়দা শরীফা খানম। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের বড় ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত।

জেনারেল মুবীন চাকরি জীবনের প্রথমদিকে সেনাবাহিনী হকি দলের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন সাফল্য অর্জনে গুর”ত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি গলফ খেলতে ভালোবাসেন এবং অন্যান্য খেলাধুলা ও ক্রীড়ার প্রতিও তার আকর্ষণ রয়েছে।