সদ্য বহিষ্কৃত ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফখরুল আলম তাঁর বহিষ্কারাদেশকে অগঠনতান্ত্রিক বলে অভিহিত করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ভৈরব পৌর মেয়রের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

ফখরুল আলম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ আকস্মিকভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করে। সভায় কমিটির ৬৩ সদস্যের মধ্যে ২৯ জন উপস্থিত ছিলেন। সভায় আমাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ তবে বহিষ্কার করার ক্ষমতা উপজেলা নির্বাহী কমিটির নেই বলে তিনি দাবি করেন। এ সময় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ছিল শুধু আগের মেয়ররাই দলীয় সমর্থন পাবেন। কিন্তু আমার বেলায় তা হয়নি। বরং বর্তমান সভাপতি সায়দুল্লাহ মিয়া দলের নাম ভাঙিয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় কিছু নেতা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন।’

নিজেকে বহিষ্কৃত নেতা মনে করেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘কখনোই না। তবে যাঁরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তাঁদের বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিত চিঠি দিয়ে অবহিত করব।’ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই ফখরুলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

-Protho m Alo