সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ও আধুনিক ব্যবস্থা না থাকা এবং সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের অভাবে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়  প্রতিবছর কোটি টাকার মাছ পচে নষ্ট হচ্ছে। পশ্চিম নিকলী কেশবপুর মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গোপাল চন্দ্র দাস দাবি করেন, বরফের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে নিকলী হাওর এলাকায় প্রতিবছর গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত মৌসুমে প্রায় এক কোটি টাকার মাছ পচে যায়।

মহরকোনা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আ. রাজ্জাক বলেন, আহরিত মাছ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মান্ধাতা আমলের প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় সংরক্ষণের দু-তিন দিনের মধ্যে মাছের গুণগত মান নষ্ট হয়। উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, নিকলীতে মাছ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনে সরকারি বা বেসরকারি কোনো উদ্যোগ আজও নেওয়া হয়নি। ফলে সাধারণ মৎস্যজীবীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। স্থানীয়  সাংসদ আফজাল হোসেন জানান, ১৯৮০ সালে সরকারিভাবে নিকলীতে একটি হিমাগার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও পরে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ প্রতিবছর উপজেলার জলমহালগুলো  ইজারা দিয়ে সরকার প্রায় চার কোটি টাকা আয় করে বলে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা যায়।

কেশবপুর গ্রামের মৎস্যজীবী মনীন্দ্র দাস নীরাঞ্জন দাস, বেদু দাস ও অষ্ট দাস বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় থেকে আহরিত মাছ নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলার আড়তে পৌঁছানো হয়। এরপর সেখানে থেকে ট্রাকে করে মাছ ঢাকা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। কিন্তু সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় হিমাগার না থাকায় ভৈরব ও কুলিয়ারচরে আড়তগুলোতে অবিক্রীত পচা মাছ  নিয়ে ব্যাপারি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েন।

– সুত্রঃ প্রথম আলো