কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের বানিয়াধান হাওরে দিলদার আহাম্মেদ খান পলাশ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির ডান হাত ও বাঁ পা চাপাতি দিয়ে কেটে নিয়ে গেছে একই এলাকার ডাকাত নুরু বাহিনী। মামলা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দিলদারকে গতকাল রাতেই ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। হামলা চালানোর সময় দিলদারের সঙ্গে থাকা একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমান আলী জানান, তিনি ও দিলদার সন্ধ্যার পরপরই কিশোরগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের নিজ গ্রাম নানশ্রী ফিরছিলেন। পথে বানিয়াধান হাওরে পৌঁছামাত্র ওত পেতে থাকা নুরু বাহিনীর লোকজন মোটা রশি দিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তিনি (ইমান আলী) দৌড়ে পালালেও দিলদারকে সন্ত্রাসীরা ধরে ফেলে। পরে তারা চাপাতি দিয়ে দিলদারের বাঁ পা হাঁটু থেকে ও ডান হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায়।

দিলদার আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। তাঁর আপন ভাতিজা তরুণ মিয়া (২৫) রাত ১১টার দিকে এই প্রতিবেদককে জানান, তাঁর চাচাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র দিলদারের একটি হাত ও এক পায়ের অংশ বিশেষ বিচ্ছিন্ন করে নেওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম গতকাল রাত নয়টার দিকে ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাটা হাত ও পা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।