জনাব মাল,
ডঃ ইউনূস যখন আশি,নব্বই দশকে প্রজেক্ট জোরবা এবং গ্রামীন ব্যাঙ্ক নিয়ে সারা দুনিয়া তে চরম মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছিলেন আপনি কোথায় ছিলেন? কোথায় ছিলো আপনার “রাবিশ” উপাখ্যান। মাল সাহেব, তখন কিন্তু ওদের গোল টেবিল বৈঠকে আপনাকে দেখা যায় নি, দেখা গেছে ডঃ ইউনূস কে, বুক ফুলিয়ে “প্রপাগান্ডা” করে বলেছেন বাংলাদেশের কথা। উনি কিন্তূ অনায়াসে আরকান্সাস (Arkansas) বা আমেরিকার অন্যান্য দরিদ্র অংগ রাজ্য যেখানে ক্ষুদ্র ঋন পাইলট প্রকল্প চলছিলো, ঐ রাজ্যগুলুর কথাও বলতে পারতেন। আবার বাংলাদেশে তালেবানী, জংগী রাস্ট্রে পরিনত করে “কাবুলী/ড্রাকুলা” কায়দায় চক্রবৃদ্ধি হারে রক্ত শোষন এর “প্রপাগান্ডা” ও বহিঃর্বিশ্বে করতে পারতেন। কারন, এ পাইলট প্রকল্পে উনি দেশ থকেও বেশি সহায়তা বহির্বিশ্ব থেকে পাচ্ছিলেন। ABC NightLine , টেড কাপল, NPR (National Public Radio) ওরা কিন্তু ওদের আর্কাইভ টা যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখে, আপনার তো জানার কথা! এখনো দেখতে পারেন। হয়তো বা আপনার স্মৃতি ভ্রম হতেও পারে, কারন বয়সবলেও তো কথা।

এই মিথ্যুক দুই নম্বরি পথে নোবেল পাওয়া লোকটাকে সময়ে অসময়ে আপনি ও কিন্তু একটু আধটু প্ররোচিত যে করেন নি, তা কিন্তু নয়। এখন আপনি ও ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে কাজ করছেন, বাহ্ বাহ্ কোন প্রতিষ্ঠান এর হয়ে নয়, যথার্ত বলেছেন! কিন্তু যে সরকারের ব্যানারের অধীনে থেকে আপনি ইদানিং রাবিশলি তালেগোল’ মাল পাকিয়ে লাগামহীন অসভ্য কথা বলে বেড়াচ্ছেন এটা কি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কম ? আপনি শিক্ষিত মানুষ আপনার “প্রতিষ্ঠানের” আপনার সমমর্যাদার অনেক সঙ এর চেয়ে আপনি অনেক শ্রদ্ধেয়, কারন একটাই, আপনি সুশিক্ষিত। এটা গুনিজন স্বীকৃত। আপনিও জীবন ভর অর্থনিতী নিয়ে ঘাটাঘাটি করলেন ইউনূস সাহেব ও করলেন, পিতা মাতা আদর করে আপনার নাম দিলেন মুহিত আর উনাকে দিলেন ইউনূস। মাশাআল্লাহ, পিতামাতার দেয়া আদুরে নামের আগে “ড” দিয়ে দুইটা “শূন্য” (ডঃ) আপনাদের মেধাতে আপনারা লাগিয়ে নিলেন। ক’জন পারে? ( অবশ্য এ টি এন সং মাহফুজ দের কথা আলাদা)। আপনিও তো পারতেন পুরধা হতে ক্ষুদ্র ঋনের? নমঃস্য হতেন বিশ্বব্যাপী। আপনার প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক যখন নোবেল টাকে এতই সস্তা মনে করেন, প্রত্যাখান করতেন নোবেল! ক্ষতি কি ছিলো? কত মিল আপনাদের। আপনারা দুজন ই দেশের উন্নয়ন চান। মাল, সাহেব। একটা কথা বলি- বিশ্বব্যাঙ্ক কিন্তু যা বলার বলে দিয়েছে। বিশ্বব্যংকের কর্তাব্যাক্তিদের পাইকারী দরে“রাবিশলি” দোষারোপ করাও কিন্তু এখনো বাদ দেন নি। আগেও বলেছি মাল সাহেব দয়াপরবশতঃ উদুর পিন্ডি বূদোর ঘাড়ে দেয়া ক্ষেমা দেন। দোষ ত্রুটি স্বীকার করতে শিখুন মালের মতো।

কিজন্য আপনার প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাঙ্কের মন জোগাতে পারলেন না এটা আপনাদের বিষয়। আপনারা বাংগালীর মধুমাসে আম জনতাদের কে বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো কিছু আমসত্ত্ব দেখালেন, কিন্তু শালার বিশ্বব্যাঙ্ক কোন আকাম কুকামের জন্য আমদের কে পদ্মাসেতু থেকে বঞ্চিত করলো দেখালেন না। বললেন দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। শুনেছি ওরা নাকি স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে আমদের দেশের ক’জনের কদম ছাট, ক’জনের বাটি ছাট, ক’জনের মাহফুজ ছাট, সবি নাকি ওরা দেখতে পারে, সুবাহানআল্লাহ! তা হলে আর লূকোচুরি কেনো? আর পদ্মা সেতু নিয়ে ডঃ ইউনুস সাহেব কি বাগড়া দিলেন এটাও পরিস্কার করলেন না, খালি সন্দেহ করলেন! শুধু বলেই গেলেন। কত শ্বেতপত্রই তো আপনারা প্রকাশ করেন, আরেক টা করে ফেলুন না “পদ্মাসেতুতে ইউনুসের বাগড়া এবং আমরা” আমাদের মতো Mango জনতারা মিথ্যুক ইউনূসের আসল রুপ টা দেখে ফেলি! নাকি উনিও দেশের সার্বভৌমত্ত্বের হুমকি?