কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। উপজেলার দক্ষিণ চরটেকি গ্রামের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে গত এক সপ্তাহে গ্রামটির শতাধিক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন অব্যাহত থাকায় দক্ষিণ চরটেকিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের। ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়।

দক্ষিণ চরটেকি গ্রামের বাসিন্দা মুর্শিদ মিয়া জানান, শতাধিক ফলফলাদির গাছসহ তাঁর বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এক সপ্তাহে উপজেলার আটটি গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, গ্রামের জালাল মাস্টার, সিরাজ মিয়া, আনার উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, মোমিন, কেরামত উল্লাহ মাস্টার, বাবুল মিয়া, বাক্কারসহ অসংখ্য লোক ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে, কেউবা অন্যত্র সরে গেছে।

দক্ষিণ চরটেকি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যালয়টি। ভাঙনের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। উত্তর চরটেকি মসজিদের মোতোয়াল্লি সোলায়মান আজাদ বলেন, নদীভাঙনের কারণে এ পর্যন্ত তিনবার মসজিদটি বিলীন হয়ে গেছে। আবারও তা হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি সরকারের কাছে মসজিদটি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার বলেছেন, ভাঙনের তীব্রতা অনেক। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্প তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। প্রকল্প অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।