আগের নির্বাচনে ভৈরব পৌরসভার সংরক্ষিত নারী পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ১৫ জন। এবার এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ জন। একই সঙ্গে কমে এসেছে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও। নারীর ক্ষমতায়নের এই যুগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমন পরিসংখ্যানে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাবুব আলম জানান, এবার চারটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একজন করে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ কারণে ওই দুই ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে না। সর্বমোট মনোনয়ন দাখিল করা ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে হলফনামায় একজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ এবং আরেকজনের বিএ, বিএড উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে চারজন এসএসসি, দুজন অষ্টম শ্রেণী পাস, একজন পঞ্চম ও দুজন স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন বলে উল্লেখ করেছেন।

ভৈরব জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু সায়িদ  বলেন, ধীরে ধীরে ভৈরবে নারী শিক্ষার হার বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় নেতৃত্বে শিক্ষিত নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে না। এবারের নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণের সংখ্যা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা তাই প্রমাণ করে। জাতীয় মহিলা সংস্থা ভৈরব শাখার সভানেত্রী উলফত আরা জাহান বলেন, সমাজের ইতিবাচক ভূমিকায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ কম থাকায় মানুষের কাছে তাঁদের সম্মান কমে আসছে। এ কারণে ভালো ও শিক্ষিত নারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

ভৈরব পৌরসভার ১২টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৪৮ জন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জনই অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। হলফনামায় উল্লেখ থেকে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণী একজন, পঞ্চম শ্রেণী পাস তিনজন, সপ্তম শ্রেণী দুজন, অষ্টম শ্রেণী তিনজন, নবম শ্রেণী চারজন, এসএসসি পাস পাঁচজন, বিএসএস একজন ও একজন বিএ পাস বলে উল্লেখ করেছেন।

– প্রথম আলো