এ পাখিগুলোর নাম ‘বালু নাকুটি’ (Sand Martin)। ‘নাককাটি’ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের এক বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। তবে পরিযায়ী হলেও এরা কিন্তু মোটেও মেহমান নয়। বরং বাংলাদেশের পাখিসম্ভারেরই অংশ। এই পরিযায়িতা এদের জীবনচক্র সম্পন্ন করার জন্যই প্রয়োজন। তাই সুদূর সাইবেরিয়া থেকে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় (শীতকালে) এলেও এরা আমাদেরই পাখি। এ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর বালুময় পাড়ে দলবেঁধে ঘুরে বেড়ায়; একসঙ্গে ৫০টি বা এরও বেশি দেখা যায়। বৈজ্ঞানিক নাম Riparia riparias অর্থাৎ ‘তলোয়ারঠুঁটো’ পাখি।

এরা ছোট আকারের পাখি। লম্বায় ১৩ সেন্টিমিটার। দেহের ওপরটা গাঢ় বাদামি। কানের ওপরটা ধোঁয়াটে ধূসর। গলা ও দেহের নিচটা সাদা; বুকে গাঢ় বাদামি দাগ। সুচালো ডানা দুটোর ওপরটা গাঢ় বাদামি। ডানার নিচ ও চোখের রঙ বাদামি। পা ছোট, পা ও পায়ের নালা গাঢ় বাদামি। ঠোঁট কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। বাচ্চাগুলোর বুকে হলদে দাগ, গলায় হলদেটে শেড। বুকের দাগগুলো হালকা।সাইবেরিয়ায় অক্টোবর-নভেম্বরে এরা প্রজনন সম্পন্ন করে। নদীর তীরে মাটিতে টানেলের মতো গর্ত করে স্ত্রী নাকুটি তাতে তিন-চারটি সাদা ডিম পাড়ে।

-prothom alo