কিশোরগঞ্জের ছয়টি পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত রোববার রাতে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাব মুক্তমঞ্চে ছয়টি পৌরসভায় দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির একাংশ এতে আপত্তি তুলেছেন। দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে বিএনপির বড় অংশটি আকস্মিকভাবে প্রেসক্লাব মুক্তমঞ্চে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, আমিরুজ্জামান, খালেদ সাইফুল্লাহ, অসীম সরকার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলামসহ তিন শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান দাঁড়িয়ে মাইকে বক্তৃতা করতে গিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে এবং ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা পৌর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আ স ম হান্নান শাহর নির্দেশে আমি কিশোরগঞ্জের সাতটি পৌরসভার দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছি।’ পরে তিনি কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায় বিএনপির নেতা মাজহারুল ইসলাম, করিমগঞ্জে দুলাল শিকদার, কটিয়াদীতে তফাজ্জল হোসেন খান, কুলিয়ারচরে নুরুল মিল্লাত, বাজিতপুরে এহসান কুফিয়া এবং হোসেনপুরে সোহরাব ভেন্ডারের নাম ঘোষণা করেন। ভৈরব পৌরসভার দলীয় প্রার্থিতার বিষয়ে ফজলুর রহমান বলেন, সেখানকার দুই দলীয় প্রার্থীকে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। পরে ভৈরব পৌরসভার দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে।

এদিকে বিএনপির একটি অংশের প্রধান জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী বলেন, ‘যেভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কি না, তা আমার জানা নেই। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হলে জানতাম। প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একাধিক প্রার্থী দলীয় সমর্থনের বাইরে রয়েছেন।’ বিএনপির নেতা ও বর্তমান পৌর মেয়র আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী। দলের চেয়ারপারসন আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি ফজলুর রহমান ও ওসমান ফারুকের প্রার্থী নই। দলীয় সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে আমি জনসংযোগ শুরু করেছি।’

– প্রথম আলো