‘সবার জন্য শিক্ষা’ বিশ্বব্যাপী চলমান এই ক্যাম্পেইনকে সফল করতে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম গোল উৎসর্গ করা হবে শিক্ষার জন্য। গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এডুকেশন-এর উদ্যোগে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ফুটবল সংস্থা-ফিফার সহযোগিতায় এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ফুটবল ফেডারেশন ও গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় ক্যাম্পেইনটি বাস্তবায়ন করবে গণসাক্ষরতা অভিযান। তারা একে সামনে রেখে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিশ্বকাপের প্রথম গোল উপভোগের জন্য দেশের ৬৪টি জেলায় বড় স্ক্রিনে ফুটবল ম্যাচ দেখানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, মিরপুর স্টেডিয়াম এবং ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ প্রথম খেলাটি সরাসরি দেখানো হবে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গতকাল এনজিও সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে একথা জানিয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণসাক্ষরতার নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আ.ফ.ম মঞ্জুর হোসেন মালু এবং গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট সৈয়দ তাহমিদ আজিজুল হক। রাশেদা কে চৌধুরী জানান, এ বছরও বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি শিশু প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ শিশু রয়েছে, যারা বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী। এটা সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচিকে অনিশ্চয়তায় ফেলতে পারে। এ থেকে উত্তরণের জন্য এবং সবাইকে সম্পৃক্ত করতে বিশ্বকাপের উন্মাদনাকে কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফিফাও তাতে সমর্থন জানিয়েছে। ভিন্নধর্মী এ আয়োজন, ‘লক্ষ্য একটা : সবার জন্য শিক্ষা’ কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। আ.ফ.ম মঞ্জুর হোসেন মালু বলেন, বাফুফে এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম। আমরাও বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে দেশের শিক্ষায় বিপ্লব শুরুর কাজ করতে চাই। এ কর্মসূচি আমাদের সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। সৈয়দ তাহমিদ আজিজুল হক বলেন, গ্রামীণফোনও উদ্যোগের অংশীদার হতে চায়। আমরা প্রচারণা চালাতে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবো।