কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভুনা গ্রামে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মায়ের গর্ভে নিহত শিশুটির লাশ গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ পাহারায় দাফন করা হয়েছে। গত রোববার জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। শনিবার রাতে কটিয়াদী থানায় শিশুটির বাবা কাজল মিয়ার করা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাজলের স্ত্রী বিলকিস বেগমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দিতে বিলকিস বেগম বলেন, ঘটনার রাতে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর দরজা ভেঙে কয়েকজন সন্ত্রাসী ঘরে ঢোকে। ঘটনা আঁচ করতে পেরে তাঁর স্বামী কাজল মিয়া বিছানা ছেড়ে লাফ দিয়ে গা-ঢাকা দেন। পরে ভুনার কাঞ্চন মিয়া, কড়ুয়াপাড়ার কাজল খান ও হানিফ খানকে টর্চলাইটের আলোতে তিনি চিনতে পারেন। কাঞ্চন তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।

এদিকে ময়নাতদন্তের পর শিশুটির লাশ কটিয়াদী থানায় নেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, শিশুটির লাশ গ্রামে দাফন করতে পুলিশের সহায়তা চান শিশুটির বাবা। এ ব্যাপারে কাজল মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। যে কারণে পুলিশের সহায়তায় তাঁকে সন্তানের লাশ দাফন করতে হয়।

কটিয়াদী থানার এসআই মনসুর আহমেদ বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তার করার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’
ভুনা গ্রামের ভুগলির বিলে একটি মৎস্য খামারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে বুধবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। শুক্রবার বিলকিস মৃত ছেলেসন্তান প্রসব করেন। গত ২১ আগস্ট ‘নৃশংসতা!’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি খবর প্রকাশিত হয়।