মেক্সিকো বৃহস্পতিবার ২-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্সকে। এতে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে ফ্রান্স বিদায় নিতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রথমার্ধ গোল শূন্যভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে মেক্সিকোর পক্ষে গোল দু’টি করেন হ্যাভিয়ের হার্নান্ডেজ ও কথোমক ব্লাংকো। এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচে মেক্সিকোর পয়েন্ট দাঁড়ালো ৪-এ। সমান ম্যাচে ফ্রান্সের পয়েন্ট ১।

শুরু থেকেই খেলা হয়েছে দ্রুতলয়ে। তাই ম্যাচ জমে উঠতে দেরি হয়নি। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে দু’দলই। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়েছিল মেক্সিকোই। খেলার ৯ মিনিটে মেক্সিকোর অধিনায়ক রাফায়েল মার্কেজ চমৎকারভাবে বল ঠেলে দেন ফ্রান্সের বিপদ সীমায়। কিন্তু লাভ হয়নি। কার্লোস ভেলার শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।

কয়েক মিনিট পর মেক্সিকোর গুইলেরমো ফ্রাংকোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ফ্রান্সের ফ্লোরেন্ত মালুদা যে সুযোগের সৃষ্টি করেন তা নষ্ট করেন নিকোলাস আনেলকা।

বাঁ প্রান্ত দিয়ে মেক্সিকোর রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কার্লোস সালসিডো ওপরে উঠে এসে আক্রমণ রচনায় সাহায্য করতে থাকেন। আর তা ঠেকাতে ফ্রান্সের রক্ষণভাগকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। দু’বার সালসিডো নিজেই ঢুকে পড়েছিলেন ফ্রান্সের রক্ষণভাগে। তার একটি শট পোস্টের ঠিক বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। আরেকটি শট ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লোরিস রুখে দেন।

খেলার ৩২ মিনিটে সালসিডোর ক্রসে অল্পের জন্য মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন বদলি খেলোয়াড় পাবলো বারেরা। খেলা যতোই গড়িয়েছে ফ্রান্সের আক্রমণের ধার ততোই কমেছে। ছন্দে ছিলেন কেবল মালুদাই। ফ্রাংক রিবেরি তার সেরা ফর্মের ধারে-কাছেও ছিলেন না। আর আনেলকা তো তার নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেননি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে মেক্সিকো রীতিমতো চেপে ধরে ফ্রান্সকে। গোলের কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্যভাবে।

দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স কিছুটা গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে। তবে সমানতালে খেলেছে মেক্সিকোও।

খেলার ৫৩ মিনিটে মালুদার তীব্র শট মেক্সিকোর গোলরক্ষক অস্কার পেরেজ কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ঠিক দু’মিনিট পরই রিবেরির শটও একই কায়দায় রক্ষা করেন তিনি।

নিজেদের ঘর সামলে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে এগিয়ে যায় মেক্সিকো। রক্ষণভাগ থেকে অধিনায়ক মার্কেজ উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন ফ্রান্সের বিপদ সীমানায়। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে সেই বল নিয়ন্ত্রণে নেন হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজ। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় ফ্রান্সের গোলরক্ষক লোরিসকে কাটিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে।

খেলার ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ফ্রান্সের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন মেক্সিকোর ৩৭ বছর বয়সী তারকা ব্লাংকো। নিজেদের বক্সের ভেতর মেক্সিকোর পাবলো বারেরাকে অবৈধভাবে মাটিতে ফেলে দেন ফ্রান্সের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় এরিক আবিদাল। সৌদি আরবের রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
ফলে হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় ফ্রান্সকে।