‘তর হলুদ মাহা গা- তুই রথ দেখগা যা
  আমি হলুদ কই ফায়াম- আমি উল্টা রথো যায়াম’
  (ময়মনসিংহ লোক কবিতা)

রথের হরেক রঙ্গা বাহার আর হরেক রঙ্গা সাজ
কোন ছুতোয় বলতো বুবু ভুলি আমি আজ
আমি গরিব, কিনতে হলুদ অনেক টাকা লাগে
এই আমি লুকিয়ে পরি তুই ডাকার আগে ভাগে

আমায় ডাকিসনারে আমার জ্বালা ভরা বুক
রথের অই মাঝখানটায় কী-না জানি সুখ
বইনরে আমার তুলির মাথায় অবাক করা পুশকুনি
পারলে কিছু সস্থা হলুদ আমার লাগিও আনিস কিনি

রথে গেলি বুবুরে তুই কিনতে হলুদ কটা
সন্ধ্যা আমার নানুর হাতে নতুন চালের চটা
রাতের বেলা ভাতের সাথে টমেটুর সালুন
রথের হলুদ কী-না দামি, কী জানি তার গুণ

ভাবতে ভাবতে বুবু আমি সুখের নিদ পারি
স্বপ্নে দেখি হলুদ হাতে লাল-সবুজ এক নারী
আমারে কয়, তুমি বলে ইংরেজিতে পড়?
জানো কিছু, আমার রথের হলুদ কত বড়?

সেই স্বপ্নের মানে আমি এখনো না বুঝি
পুশকুনিটা খালি করে শখের হলুদ খুঁজি
দূরে ফেলে এসেছি সেই লাল টমেটোর ঝোল
এখন,
রথেই আমার হাঁটা চলা, রথের মতোই বোল

রথের হলুদ কতো রকম
কতো ঢাক, তার কতো শরম
এসব এখন খুব জানি-
ক্ষতি বলতে,

হারালো আমার অবাক সেই পুশকুনি

© বৃক্ষ মজুমদার