এখন থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাই হবেন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভাপতি। একাডেমিক কার্যক্রমের ওপর থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্তৃত্ব। ঢাকার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুযোগ বাড়বে।

এসব প্রস্তাব করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১০ চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগামী রোববার বিলটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

চলতি অধিবেশনেই পাস করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করার লক্ষে তৈরি  বহুল আলোচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১০ আগামী রোববার সংসদে উপস্থাপন করা হচ্ছে। চলতি অধিবেশনেই এ বিল পাস হবে। আইনটি কার্যকর হলে কেউ আর  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নামে সনদ বাণিজ্য করতে পারবে না। শিক্ষা বানিজ্য বন্ধে  সবোর্চ্চ চেষ্ঠা করবে সরকার।’

ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে আইনটি চুড়ান্ত করেছি। এটা আমাদের বড় একটি অর্জন। কিছু সমস্যাতো থাকবেই।’

প্রস্তাবিত আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বচ্ছভাবে পরিচালনার জন্য সিন্ডিকেটের সভাপতি করা হচ্ছে উপাচার্যদের।

অধ্যাপক নজরুল বলেন, ট্রাস্টি বোর্ড ও সরকারের প্রতিনিধি ছাড়াও ইউজিসির মনোনীত একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিন্ডিকেটে থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক কর্তৃত্ব উপাচার্যের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সিন্ডিকেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গোপনীয়তা বলতে কিছু থাকবে না। গোপনীয়তা, দুর্নীতি ও অনিয়মেরও সুযোগ কমে যাবে।

মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের চূড়ান্ত খসড়ায় মালিকদের দাবি অনুযায়ী নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমির ব্যপারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, স্থায়ী অনুমোদন পেতে হলে উদ্যোক্তাদেরকে ৭ বছরের মধ্যে মাত্র ১ একর নিজস্ব জমির ব্যবস্থা করতে হবে। তবে ১ একর জমির এ বিধান কেবল ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিলের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

বলা হয়েছে, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হলে পাঁচ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিলে সংরক্ষিত রাখতে হবে। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরের বাইরে অন্যান্য মহানগরীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হলে তিন কোটি টাকা এবং জেলা শহরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার  ক্ষেত্রে দেড় কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।