তিনি বাজিতপুর পৌ্র এলাকার বসন্তপুর গ্রামের আবু তালেবের পুত্র। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে এমবিবিএস পাশ করার পর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে লেফটেনেন্ট হিসাবে যোগদান করেন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কুমিল্লা সেনানিবাসে একই পদে নিয়োজিত ছিলেন ।৩০ মার্চ ৭১ সকাল বেলায় তিনি নিজ বাসায় গর্ভবতী স্ত্রী ও শিশুপুত্র এ কে এম তারেককে নিয়ে নাস্তা করছিলেন। এ সময় পাকহানাদার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য এসে নাস্তার টেবিল থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে পরবর্তীতে জানা গেছে,আরও কয়েকজন বাঙালি সেনা সদস্যদের সঙ্গে তাকে নির্জন পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে হত্যা করা হয় ।স্বাধীনতার পর তাকে মরণোওর ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশ সরকার তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মারক ডাকটিকেটও প্রকাশ করেছে। ক্যাপ্টেন ফারুকের শাহাদাতের পর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জন্মগ্রহণকারী দ্বিতীয় পুত্র এ কে এম আরিফ পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে বর্তমানে মেজর পদে কর্মরত আছেন ।

 

লেখক-মুহম্মদ বাকের