কেনো বিখ্যাত:

ছবিঃ চন্দ্রাবতী  মঠশাহী মসজিদ ও পাগলা মসজিদ দুটি কিশোরগঞ্জের অন্যতম আকর্ষণ। ঈশা খাঁর বংশধর জমিদারদের বাড়িঘর দেখতে হলে হযরতনগরের দেওয়ানবাড়িতে আসুন। এখানে রয়েছে পুরোনো আমলের দালানকোঠা। ৬ মাইল দূরের পাতোয়াইর গ্রামে যেতে পারেন। রিকশা নিয়ে এখানে সরাসরি যাওয়া যায়। এখানে ফুলেশ্বরী নদীতীরে একটি মনোরম মঠ রয়েছে। মঠের দেয়ালে অসংখ্য পোড়ামাটির অলংকরণ ছিল এবং এসব অলংকরণ মঠটি সুশোভিত করে তুলেছে। মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি দ্বিজবংশী দাসের কন্যা তথা বাংলার প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী এই মঠ নির্মাণ করেছিলেন। এই গ্রামেই চন্দ্রাবতীর জন্ম। তিনি যে বাসভবনে থাকতেন সেটি এখনও আছে। এটি আর আগের মতো আকর্ষণীয় নয়। চন্দ্রাবতীর নামে একটি স্কুল আছে- এই স্কুলটিও দেখে নিন।

কবি চন্দ্রাবতী সম্পর্কে জানা যায়, ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমদিকে নির্মিত শিবমন্দিরে বসে কবি চন্দ্রাবতী পূজা অর্চনা করতেন আর রামায়ণ লিখতেন। চন্দ্রাবতী ছিলেন চিরকুমারী। ছোটবেলার খেলার সাথী জয়দেবের সঙ্গে তার গভীর প্রেম ছিল। তার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ার কারণেই চন্দ্রাবতী আর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি। চন্দ্রাবতীর হস্তলিখিত রামায়ণের পাণ্ডুলিপি আজও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।

জঙ্গলবাড়ি আর এগারোসিন্ধুর ঘুরে দেখুন। প্রাচীন কীর্তিতে ভরপুর এই দুটি জায়গা দেখার সময় অতীত যুগে ফিরে যাবেন। এগারোসিন্ধুর সাদ মসজিদ, শাহ মোহাম্মদ মসজিদ, মসজিদপাড়া মসজিদ, দুর্গ, রাস্তাঘাট আপনাকে আকৃষ্ট করবে। ঈশা খাঁর আমলের দুর্গও আছে এখানে। জঙ্গলবাড়ি শহর থেকে ৫ মাইল দূরে অবস্হিত।

কিভাবে যেতে হয়:

ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার জন্য আন্তঃনগর ট্রেন এগারোসিন্ধুর রয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে এটি বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছে। বিআরটিসির বাস ছাড়ে গুলিস্তানের ঠিক পূর্বপাশ থেকে। সময় লাগে সাড়ে ৩ ঘন্টা।