শীতলক্ষ্যা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ১৬ যাত্রীর মধ্যে সাতজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরে পৌনে ১২টা পর্যন্ত একটি শিশু, একজন মহিলা ও পাঁচজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২-৩ মাইল দূরে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ এলাকায় লাশগুলো ভেসে ওঠে।
নিহতেরা হলেন- শ্যামল (২৫), নুর হোসেন (৪৫), মাহবুবুর রহমান (২৬), সেলিম (২৪), জুয়েল (১৮), মুকুল দাস (২৫)। আনুমানিক ২১ বছর বয়সী এক মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের টানবাজার খেয়াঘাট এলাকায় বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি ট্রলার ডুবে যায়। যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে তীরে উঠলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়ে যায়।
রোববার রাতের ওই দুর্ঘটনার পর সোমবার সারাদিনও কোনো লাশ উদ্ধার না হওয়ায় নিখোঁজদের স্বজন ও এলাকাবাসী দমকল, বিআইডব্লিউটিএ কর্মী ও পুলিশের উপর হামলা চালায়। একটি বালুবাহী ট্রলারে আগুনও ধরিয়ে দেয় তারা।
এ কারণে বিকাল ৩টার পর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখা হয়। উদ্ধার কাজও ব্যাহত হয়। হামলায় পুলিশ, ডুুবুরিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পুলিশ কয়েক দফা লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ১৬ যাত্রীর পরিচয় পাওয়ার কথা জানায় জেলা প্রশাসন। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ট্রলারডুবিতে ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে শীতলক্ষ্যা নদীর লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা, টানবাজার খেয়াঘাট, মদনগঞ্জ এলাকায় ৭টি লাশ নদীতে ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এক মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাকীদের খোঁজে উদ্ধার কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামসুদ্দৌজা জানান, ট্রলার যাত্রীদের বেশিরভাগ নারায়ণগঞ্জ শহরের হোসিয়ারি, পোশাক কারখানা ও দোকানের শ্রমিক।