কিশোরগঞ্জে আক্তারুন্নেছা অন্তরা হত্যা মামলায় স্বামীসহ নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আ ম ম সাঈদ এ রায় দেন।দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন: অন্তরার স্বামী করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, তাঁর ভাই আবদুস সালাম, ইউনিয়নের সুলতাননগর গ্রামের নাসির উদ্দিন, মতি মিয়া, দক্ষিণ আশতকা গ্রামের আবদুস ছালাম ও তাঁর ভাই আবদুল কালাম, নান্নু মিয়া ও তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম ও আবদুর রহিম। আদালত প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৭ মে গুণধর ইউপির তৎকালীন নির্বাচিত চেয়ারম্যান তোফায়েল তাঁর স্ত্রী আক্তারুন্নেছাকে হত্যার জন্য ভাড়াটে ডাকাত ঠিক করে চট্টগ্রামে চলে যান। বাড়িতে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে ভাড়াটে লোক দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান। পরে চেয়ারম্যানের বাবা হারুন-অর-রশিদ প্রতিপক্ষ উজানবরাটিয়া গ্রামের মোজাম্মেলকে প্রধান আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গোয়েন্দা বিভাগ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আক্তারুন্নেছার বাবা নিকলী উপজেলার ভাটিবরাটিয়া গ্রামের আবদুল বারিক বাদী হয়ে জামাই তোফায়েলসহ ১৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পরে পুলিশ তোফায়েলকে আটক করলে তিনি বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত তোফায়েলসহ নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মামলার আগের বাদী হারুন-অর-রশিদকে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। বাকি চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

-Prothom alo